আগামী ২৮ এপ্রিল সপ্তমবারের মতো দেশে “জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস” পালিত হবে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় “বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় শেখ হাসিনার অবদান বিনামূল্যে লিগ্যাল এইডে আইনি সেবাদান।” উন্নয়ন আর আইনের শাসনে এগিয়ে চলছে দেশ/ লিগ্যাল এইডের সুফল পাচ্ছে সারা বাংলাদেশ’ এ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে সামনে রেখে গত বছরও ২৮ এপ্রিল দেশব্যাপি পালিত হয়েছে ষষ্ঠ “জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস”।
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার সহকারি পরিচালক (প্রশসান) ও সিনিয়র সহকারি জজ কাজী ইয়াসিন হাবিব বাসস’র সঙ্গে আলাপকালে আজ এ কথা জানান। তিনি বলেন, আগামী ২৮ এপ্রিল বিগত বছরের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “জাতীয় আইনগত সুবিধা প্রদান দিবসের” অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছি। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে এবছরও দিবসটি পালনে দেশব্যাপি ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী, শ্রমিক, সহিংসতার শিকার নারী-শিশু এবং পাচারের শিকার মানুষের জন্য আইনি সেবা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আইন প্রণয়নের মধ্যদিয়ে সরকারি খরচায় আইনগত সহায়তা কার্যক্রম শুরু করে। পরে এই আইনের অধীনে বিভিন্ন বিধি প্রণীত হয়। বিধিতে কারা আইনি সহায়তা পাবেন তা নির্ধারণ করা হয়।
দেশের সবক’টি জেলা আদালত, চৌকি আদালত এবং সুপ্রিমকোর্টে লিগ্যাল এইড সার্ভিস চালু রয়েছে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে এখন শুধু আইনি সহায়তা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি, মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে এ অফিসগুলোকে ‘এডিআর কর্ণার’ বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পক্ষসমূহের সম্মতির ভিত্তিতে লিগ্যাল এইড অফিসে বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়ে থাকে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসটির প্রথম অনুষ্ঠান ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিগ্যাল এইড কল সেন্টার “জাতীয় হেল্পলাইন”-এর উদ্বোধন করেন। এ হেল্পলাইনে ১৬৪৩০ নম্বরে ফোন করে যেকোন ব্যক্তি জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পাচ্ছেন।
সূত্র : বাসস