মোঃ সদরুল কাদির (শাওন), সাতক্ষীরা:: সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমান কতৃক সপ্তম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। আজ ১৭ এপ্রিল বুধবার সকাল ১০ টার সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলছাত্রী স্কুলের কেবিনেট প্রধান সামিউল ইসলাম (মুন্না)র নেতৃত্বে শত শত শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে শিক্ষক হাফিজুর রহমানের অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবী জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। মানববন্ধন শেষে ঐ শিক্ষার্থী সরাসরী থানায় এসে অফিসার ইনচার্য মোঃ হাবিল হোসেনের নিকট সঠিক বিচার চেয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষরীত এজাহার জমা দেয়। এজাহারে লেখা হয়-“স্কুল ড্রেস পড়ে এসেছিলাম কিন্তুু ওড়নাটা স্কুল ড্রেস অনুযায়ী পড়ে না আসায় স্যার কুরুচীপূর্ন ব্যবহার করে এবং নিজ হাত দিয়ে আমার শরীর থেকে ওড়না কেড়ে নেয়। ওই ছাত্রী এজাহারে আরো উল্লখ করে বলেন-“ওড়না বিহীন ওই শিক্ষক আমাকে দীর্ঘসময় ছেলেদের সামনে দাড়িয়ে রাখে এবং খারাপ আচরন করতে থাকে”। ছাত্রিটি আরো জানায় “এধরনের আচরন দীর্ঘদিন ধরে ওই স্যার মেয়েদের সাথে করছে এমনকি সবসময় মেয়েদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন,বাজে গল্প করেন,ভয়ে কোন শিক্ষার্থী স্যারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনা।”ছাত্রীটি এজাহারে শিক্ষকের শাস্তির দাবী করেন।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্য মোঃ হাবিল হোসেনের নিকট বিষটির সত্যতা জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন-” ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল চলাকালীন সময়ে। সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার মোবাইলে আমাকে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালে আমি দ্রুত বিষয়টি আমলে নেই। ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঐ শিক্ষককে জিঞ্জাসাবাদ করার জন্য তার বাড়িতে এস আই সহ পুলিশের একটি টিম পাঠাই,কিন্তুু তাকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে বিষয়টির সত্যতা জানার জন্য জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার,এডিশনাল এসপি এবং আমি সহ সাংবাদিকরা ঐ শিক্ষার্থীর পিতামাতার নিকট জিঞ্জাসাবাদ করলে শিক্ষার্থীর অভিভাবক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও থানায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে অনিচ্ছুক প্রকাশ করেন। আজ ১৭ ই এপ্রিল ঐ শিক্ষার্থী নিজেই শিক্ষক হাফিজুর রহমানের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানিয়ে সহপাঠিদের নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয় এবং থানায় আমার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তিনি বলেন যেহেতু অভিযোগ পেয়েছি দ্রুত মামলার প্রস্তুুতি নিচ্ছি।
ইতিমধ্যে নকিপুর সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড.আব্দুল মান্নান নিকট বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন-“শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ । তিনি বলেন-“অভিযোগ পেয়েছি কিন্তুু এধরনের বড় একটি ঘটনার বিচার করা আমার আয়ত্বের বাইরে,ইততিমধ্যে সুষ্ট তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে”। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমানের নিকট ঘটনাটির বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।