সম্প্রতি বলিউডে সাজিদ খানের বিরুদ্ধে একের পরে এক কাস্টিং কাউচের অভিযোগ উঠছে। তবে তিনি একা নয়, মিটু আন্দোলনে একাধিক বলিউড পরিচালক, প্রযোজক ও সংগীত পরিচালকেরও নাম উঠে এসেছিল। অর্থাৎ, বলিউডে যে কাস্টিং কাউচ রয়েছে সেই বিষয়টি নেহায়েত গুজব নয়। তবে শুধু অভিনেত্রীরাই কাস্টিং কাউচের শিকার হয়ে থাকেন এমন না, অভিনেতারাও এর ভুক্তভোগী।
বলিউডের প্রথম শ্রেণির অভিনেতা রণবীর সং। তিনিও এর শিকার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। তেমনই কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও জি-নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রণবীর বলেছেন, বলিউডে কাস্টিং কাউচ নায়কদের ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে।
বলি নায়ক জানান, মণীশ শর্মার ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ সিনেমায় প্রথম ব্রেক পান রণবীর সিং। তবে অভিষেক হয়েছিল কপি-রাইটার হিসেবে। একটা সময় অভিনয় নিয়েই এগিয়ে যেতে চান তিনি। সেই সময় ক্যারিয়ারে কি করবেন তা ভেবে পাচ্ছিলেন না। যে কারণে অন্ধকারেই পথ খোঁজার চেষ্টা করছিলেন।
স্ট্রাগল টাইমেই একবার এক প্রযোজক প্রাইভেট পার্টিতে ডাকেন। পরে তাকে নিভৃত স্থানে নেয়া হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, হার্ড ওয়ার্ক নাকি স্মার্টনেস, কোনটা পছন্দ তার। উত্তরে রণবীর জানান তিনি হার্ড ওয়ার্কার। কিন্তু পাল্টা জবাবে ওই ব্যক্তি নায়ককে বলেন, ডার্লিং স্মার্ট হও, সেক্সি হও। আর এসব অভিজ্ঞতা থেকেই কাজের গুরুত্ব বুঝেছেন বলেও জানান অভিনেতা।
রণবীর সিং