মৌলভীবাজারের বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মঙ্গলবার ব্যতিক্রমী একটি যৌতুক মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি করেছেন উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের প্রবাস ফেরত নুরুল ইসলাম। এই যৌতুক নিরোধ আইনের মামলায় তিনি স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ চার জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে স্ত্রী লিপি বেগম, শ্বশুর মনির উদ্দিন ও শাশুড়ি হোসনা বেগমের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রবাস ফেরত নুরুল ইসলাম প্রায় ৫ বছর আগে বিয়ানীবাজার উপজেলার গয়লাপুর গ্রামের মনির উদ্দিনের মেয়ে লিপি বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি করে লিপি বেগম পিত্রালয়ে চলে যান। প্রবাসে থাকা অবস্থায় প্রতি মাসে তিনি স্ত্রীর কাছে ১০ হাজার টাকা করে পাঠাতেন। গত ২৮ আগস্ট নুরুল ইসলাম দেশে ফিরছেন জানিয়ে স্ত্রীকে বাড়িতে আসতে বলেন। দেশে আসার ১৫ দিন পূর্বে লিপি বেগম কৌশলী হয়ে স্বামীর বাড়ি এসে বসবাস শুরু করেন। গত ২০ আগস্ট লিপি বেগম স্বামীকে বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করার কথা বলে বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা নিয়ে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি লিপি।
প্রবাস থেকে বাড়ি ফিরে নুরুল ইসলাম স্ত্রীকে না পেয়ে খোঁজখবর করে জানতে পারেন তিনি তাকে আনতে গিয়ে স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা নিয়ে পিত্রালয়ে চলে গেছেন। তিনি আর ফিরবেন না। স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলেন- ৩ লাখ টাকা যৌতুক দিলে স্ত্রীকে স্বামীর সংসারে ফেরত পাঠাবেন।
বড়লেখার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইকরাম হোসেন জানান, স্ত্রী ও তার পিত্রালয় পক্ষের যৌতুক দাবির ব্যাপারে স্বামীর দায়েরকৃত মামলায় আদালত ৪ আসামির মধ্যে স্ত্রীসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।