নেপালে হয়ে যাওয়া সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাফজয়ী খেলোয়াড়রা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তাদের চ্যাপিম্পয়ন ট্রফি তুলে দেন।
আজ বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড় এবং সংশ্লিষ্টদের এ সংবর্ধনা দেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তাদেরকে আর্থিক সম্মাননা হিসেবে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ৫ লাখ এবং কর্মকর্তাদের হাতে সম্মাননা হিসেবে ২ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে ‘সাফ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’ এর ওপরে একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ছেলেরা যা পারেনি, মেয়েরা তা পেরেছে। ছেলেরা শুনলে একটু রাগ করবে। রাগ করার কিছু নেই। ছেলেদের প্রতিযোগিতা একটু বেশি। তাও আমি বলব, আমাদের মেয়েরা যথেষ্ট ভালো করছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। খেলার জগতে আসলেই আমার পরিবারের কথা মনে পড়ে। আমার দাদা ফুটবল খেলতেন, আমার বাবা ফুটবল খেলতেন। আমার দাদা ও আমার বাবা খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। আমার ভাই শেখ কামাল ফুটবল খেলতেন। জামাল ফুটবল, ক্রিকেট খেলতেন। আমার বাসাটাই ছিল স্পোর্টস জগত। আমার পরিবারটা খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত। আবাহনী ক্রীড়াচক্র যখন তৈরি করা হয় তখন আমরা সাধ্য মতো সহযোগীতা করেছিলাম।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমরা বিজয়ী জাতি। সব সময় এটা মাথায় রাখতে হবে। খেলার মাঠেও মাথায় রাখতে হবে- যুদ্ধ জয় করেছি, খেলাও জয় করব। এই চিন্তা নিয়ে সবাইকে চলতে হবে, তাহলে সাফল্য আসবে।
এদিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাবের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২ এর ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এরপর ঢাকায় পা রেখেই ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন সাবিনা-সানজিদারা। তাদের ছাদখোলা বাসে চড়ে সংবর্ধনা পাওয়ার ইচ্ছা পূরণ করা হয়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তখন রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাহিরে থাকায় সাবিনাদের সংবর্ধনা দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী।