মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর বাকি আর মাত্র ২৩ দিন। কিন্তু এখনও স্বপ্নের সোনালি ট্রফির বিশ্ব ভ্রমণ চলছে।
ফিফা বিশ্বকাপের স্বপ্নিল এই ট্রফি এবার গেল লাতিন আমেরিকার অন্যতম পরাশক্তি লিওনেল মেসির দেশ আর্জেন্টিনায়। বিশ্বকাপের ট্রফি ভ্রমণ নিয়ে দেশটির ফুটবল ভক্তদের উচ্ছ্বাসের শেষ নেই।
আর্জেন্টিনায় ট্রফি পৌঁছানোর পর রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের কনভেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে প্রদর্শনীর জন্য শোভা পাচ্ছে ট্রফিটি, যা দেখতে সেন্টারে হাজার হাজার ফুটবল ভক্ত-সমর্থকদের ঢল নামে। কেউ আর্জেন্টিনার পতাকা হাতে, কেউ আবার মুখে আকাশি নীল রং মেখে, আবার কেউ কেউ স্লোগান দিতে দিতে প্রবেশ করেন ট্রফি দেখতে।
ফুটবল বিশ্বকাপের দুবারের চ্যাম্পিয়ন আলবেলিস্তেরা। যেখানে ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে জয় পায় তারা। সবশেষ ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জিতেছে ম্যারাডোনার হাত ধরে। তাইতো এই ট্রফি দেশটির মানুষের কাছে অন্যরকম এক আবেগের। দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের এই কাঙ্ক্ষিত ট্রফিটি এবার মেসি উঁচিয়ে ধরবেন বলে বিশ্বাস আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মনে।
সেই ট্রফি দেখতে আসা এক ভক্ত বলেন, এই বিশ্বকাপ ট্রফিতে ম্যারাডোনার স্পর্শ আছে। তাই এত কাছ থেকে এই ট্রফি দেখা আমাদের কাছে অন্যরকম এক অনুভূতি। অনেকটা জাদুর মতো। আমাদের বিশ্বাস, লিওনেল মেসিও এই ট্রফি এবার উঁচিয়ে ধরবে। আর আমরা সেই ইতিহাসের সাক্ষী হব। জানি এটা কঠিন এক পথ। কিন্তু বিশ্বকাপ ট্রফি আর্জেন্টিনাতেই ফিরে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
এদিকে আরেক ভক্ত বলেন, এই অনুভূতি আসলে বলে বোঝানোর মতো নয়। আমি এতটাই আবেগাপ্লুত হয়ে গেছি যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। এটা শুধু একটা ট্রফি নয়, আর্জেন্টিনার মানুষের কাছে এটা একটা স্বপ্ন, বিশেষ করে যারা ফুটবল ভালোবাসে। বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর জিনিসটি আজ আমাদের সামনে।
বিশ্বকাপ ট্রফি একনজর দেখতে পেরে যেমন খুশি ভক্তরা। তেমনি এই আনন্দঘন মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলেন সবাই। কনভেনশন সেন্টারটিতে শুধু বিশ্বকাপ ট্রফি নয়, ভক্তদের জন্য প্রদর্শন করা হয় ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ফুটবল। বিশ্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে ২৪টি দেশ ইতোমধ্যে ভ্রমণ করেছে ট্রফিটি। কাতার পৌঁছানোর আগে আরও ছয়টি দেশ ভ্রমণ করবে স্বপ্নিল এই ট্রফি।