ভিরাট কোহলির অবিস্মরণীয় ব্যাটিংয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হতবাক করে ৪ উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়েছে ভারত।
শেষ ৩ ওভারে ৪৮ রানের আপাত অবিশ্বাস্য সমীকরণকেও ব্যাটিংয়ের দুর্দান্ত মাস্টারিতে সম্ভব করেছেন ভিরাট কোহলি। পাকিস্তানের দেয়া ১৬০ রানের লক্ষ্যে একদম শেষ বলে গিয়ে ম্যাচ জয় নিশ্চিত হয় ভারতের।
১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নাসিম শাহ ও হারিস রউফের বলে কে এল রাহুল ও অধিনায়ক রোহিত শর্মার উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়েছে ভারত। এরপর ইনফর্ম সূর্যকুমারকে ফিরিয়ে দিয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছে হারিস রউফ। কোহলির সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ভারতের দুর্দশা আরও বাড়িয়েছেন আক্সার প্যাটেল।
৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছিল ভারত। এরপর ভিরাট কোহলি এবং হার্দিক পান্ডিয়ার জুটিতে ম্যাচ জয়ের আশা জিইয়ে রাখে ভারত। ৫ম উইকেট জুটিতে ৮৪ বলে ১১৩ রান যোগ করেছেন এই দুই ব্যাটার।
শেষ ওভারে হয়েছে বিস্তর নাটক। ১৬ রান দরকার ছিল ভারতের জয়ের জন্য। আর শেষ ওভারের প্রথম বলেই আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া। ক্রিজে নেমে দীনেশ কার্তিক নেন সিঙ্গেল। মোহাম্মদ নওয়াজের ৩য় বলে ২ রান নেন কোহলি। এরপর নো বলে ছয় মারেন কোহলি। পরের বলে নওয়াজ দেন ওয়াইড। ফ্রি হিটে বাই রান আসে ৩টি। ২ বলে ২ রানের সমীকরণে গিয়ে আউট হন দীনেশ কার্তিক। ক্রিজে আসেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সেই বলটাও ওয়াইড দেন নওয়াজ। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ভারতকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান অশ্বিন।
তবে, এর আগের ২ ওভারেই ভারতকে খাদ থেকে টেনে তুলেছেন কোহলি। শাহিন আফ্রিদির করা ওভারে ভিরাটের তাণ্ডবে আসে ১৭ রান। তারপর হারিস রউফের ওভারের শেষ দুই বলে দুর্দান্ত দুইটি ছক্কাকে আজীবন মনে রাখতে পারেন কোহলি সমর্থকরা। ট্রেডমার্ক শটে লক্ষ্যকে নাগালের মধ্যে নিয়ে এসে কোহলি দেখান, তিনি এখনও সময়ের সেরা ব্যাটার। আর ৫৩ বলে ৮২ রানের ইনিংসে তিনি আরও একবার দেখালেন, ক্রিজে যতক্ষণ থাকবে ‘চেজ মাস্টার’ ভিরাট কোহলি, ততক্ষণ শেষ কথা বলে দেয়ার কিছু নেই। আর বলতে হলে তা কোহলির অনুকূলেই বলা ভালো।
এর আগে, শান মাসুদ ও ইফতিখার আহমেদের অর্ধশতকের ওপর ভর করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ১৬০ রানের টার্গেট দিয়েছে পাকিস্তান। হার্দিক পান্ডিয়া ও আর্শ্বদীপ সিং নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া, ভুবনেশ্বর ও শামি দখল করেছেন ১টি উইকেট।