২০১৮ সালের আজকের দিনে মিউজিক অঙ্গনে শোক নেমে এসেছিল। শোকের কারণ ছিল শ্রোতা প্রিয় ব্যান্ড তারকা গিটারের জাদুকর আইয়ুব বাচ্চুর না ফেরার দেশে চলে যাওয়া।
তার মৃত্যুর সংবাদে মিউজিকপাড়া সহ ভক্তদের শোক কান্নায় পরিণত হয়েছিল সেদিন। তার শেষ যাত্রায় লাখ লাখ ভক্ত আর মিউজিক অঙ্গনের লোকেরা অংশ নিয়েছিল। সেই কিংবদন্তির মৃত্যুর আজ চার বছর পূর্ণ হলো। সবই আছে, নেই কেবল রুপালী গিটারের সেই বাহক। ভক্তকূল এখন তাকে খুঁজে ফেরে গানে গানে। এই বুঝি মঞ্চে উঠে গিটারে ছন্দ তুলে দরাজ গলায় গাইতে শুরু করবেন আইয়ুব বাচ্চু (এবি)।
কয়েক প্রজন্মকে গানের মোহে আবদ্ধ রাখা আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি ব্যান্ড ঘরানাকে সমৃদ্ধ করেছেন। তার অনেক গান এখনও সঙ্গীতপ্রেমি মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে গানের ভুবনে পথচলা শুরু করেন আইয়ুব বাচ্চু। এরপর ১০ বছর সোলস ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করেন। নব্বইয়ের দশকে যাত্রা শুরু হয় ‘ব্যান্ডদল এলআরবি’র। এর দলনেতা ছিলেন তিনি।
দীর্ঘ কয়েক দশকে অসংখ্য কালজয়ী ও জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু। এর মধ্যে অন্যতম হলো ‘চলো বদলে যাই,’ ‘হাসতে দেখো,’ ‘এখন অনেক রাত,’ ‘রুপালি গিটার’, ‘মেয়ে’ ‘আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি,’ ‘সুখের এ পৃথিবী,’ ‘ফেরারি মন,’ ‘উড়াল দেবো আকাশে,’ ‘বাংলাদেশ,’ ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি,’ ‘এক আকাশের তারা,’ ‘সেই তারা ভরা রাতে,’ ‘কবিতা,’ ‘তিন পুরুষ,’ ‘যেওনা চলে বন্ধু,’ ‘বেলা শেষে ফিরে এসে,’ ‘আমি তো প্রেমে পড়িনি’।