ইরানের ইভিন কারাগারে গোলাগুলি ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় ভেতর থেকে বন্দুকের গুলির শব্দ ও সাইরেন শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল শনিবার (১৫ অক্টোবর) এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, আগুন লাগার পর কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় চারপাশ। আগুন লাগার পর দ্রুত সেখানে পৌঁছায় দমকল বাহিনী। কর্মীরা আগুন নেভানোর পাশাপাশি আক্রান্তদের বের করে আনে। পরে সেখানে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে রাজধানী তেহরানের উপকণ্ঠে কারাগারে আগুন লাগার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। এতে কোনো হতাহত হয়েছে কি-না তাও জানা যায়নি।
আগুনের ঘটনায় বন্দীদের পরিবার কারাগারের প্রধান দরজার সামনে জড়ো হতে শুরু করেছেন। কারাগারটি রাজনৈতিক বন্দীদের আটক করার প্রাথমিক স্থান। এখানে রাজনৈতিক বন্দি, সাংবাদিক এবং বহু দ্বৈত ও বিদেশি নাগরিক বন্দি রয়েছেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় ইরানে যে বিক্ষোভ চলছে, সেই বিক্ষোভ থেকে আটক শত শত লোককে ওই কারাগারেই রাখা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে, চলমান আন্দোলনে আবারও সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারের দমনপীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির। এর প্রতিবাদে শুরু হয় বিক্ষোভ। দেশটিতে এবার কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। মূলত পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই সেখানে বিক্ষোভ দানা বাঁধে এবং পরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বের অনেক দেশই এ বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।