তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বিএনপির তারেক জিয়া তার দলের সাধারণ কর্মীদের বিভ্রান্ত্র করে আন্দোলন করতে চায় কিন্তু সে যদি সাহসী নেতা হতো তাহলে ১৫ বছর থেকে বিদেশে বসে থাকতো না। আজ থেকে ১৫ বছর আগে যিনি মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন সেই সময়ে তার দলের বর্তমান কর্মীরা তাকে দেখে নাই। সেই সময়ে তারা দেখে নাই ১২ ঘন্টার বিদ্যুৎ লোডশেডিং।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা যুবলীগের সম্মেলন উদ্বোধন করে শামস পরশ আরো বলেন, তারেক জিয়া এখন তাদের কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন করে। যারা এতিমের টাকা মেরে খায় তারা কিভাবে এসব কর্মীদের দায়িত্ব নেবে বলে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, তারেকের পিতা যখন কুখ্যাত মেলিটারি শাসক তখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা জনগণের সাথে কাজ করেছেন। শেখ হাসিনা ছয় বছর শরনার্থী হিসেবে ছিলেন বিদেশে খুনি জিয়ার শাসন আমলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবি নিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন। দেশে ফিরে আসার পর জিয়ার মদদে ফ্রিডম পার্টি হত্যা করতে চেয়েছিলো কিন্তু তিনি ভয় পাননি।
তিনি বলেন, তারেক জিয়া ১৪ বছর ধরে বিদেশে মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে রয়েছেন। সম্পদের পাহাড়ের উপর বসে বসে আন্দোলনের ঘোষণা দিবেন। আর সেই আন্দোলনে প্রাণ দিবেন এদেশের তরুণরা। এতো বোকা ভাববেন না। এদেশের জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করবেন না। সাধারণ জনগণের ভাগ্য নিয়েও ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করবেন না। যদি করেন এদেশের জনগণই আপনাদের নেতৃবৃন্দের গণধোলাই দিয়ে ঘরে তুলে দিবে। আপনার এতো ভয় কেন দেশে আসতে।
যুবলীগর কর্মীদের উদ্দেশ্যে শেখ পরশ বলেন, আমাদের ধারাবাহিক সেবামূলক কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে গ্ৰুপিং বন্ধ করতে হবে। বর্তমানের কঠিন বাস্তবতায় নিজেদের মধ্যে গ্ৰুপিং করার কোন সুযোগ নেই। নিজের ভাইয়ের পিছনে না লেগে দেশের প্রকৃত শত্রুদের পিছনে মনোনিবেশ করতে হবে। আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখতে হবে।
সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ এমপি।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিনি এমপি। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল আলম জোয়ারদার সৈকত, অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল কবির ও সৈয়দা সানজিদা শারমীন প্রমুখ।
জানা গেছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ১৯ নেতাকর্মী ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১০ জন রয়েছেন বলে জানা গেছে।