আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গাম্বিয়ায় ভারতীয় কফ সিরাপ খেয়ে ৬৬ শিশু মারা যাওয়ায় ওই ভারতীয় ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। হু জানিয়েছে, গাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যুর জন্য দায়ী ভারতীয় ওষুধ কোম্পানির নাম নয়ডার মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রের খবর, নয়ডার মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল পশ্চিম আফ্রিকার নানা দেশে এই বিষাক্ত ওষুধ রপ্তানি করেছে। তার মধ্যে এই কফ সিরাপও আছে। যা খাওয়ার পরেই শিশুদের কিডনি বিকল হয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত ৬৬ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হাতে আসা প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পরীক্ষিত ২৩টি নমুনার মধ্যে চারটিতে ডাইথিলিন গ্লাইকোল/ইথিলিন গ্লাইকোল পাওয়া যায়। এরপরই মোট চারটি সিরাপ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়। প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মাকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ ব্যবহার না করার জন্য সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আর তদন্ত শুরুর পর দেখা গেছে, এই ওষুধ খাওয়ার পরেই পেটে ব্যথা, ঘন ঘন বমি করার মতো উপসর্গ দেখা যায়। আর শিশুদের মৃত্যু কিডনি বিকল হয়ে হয়েছে বলেই নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে শিশু মৃত্যুর ঘটনার পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস গেব্রেয়াসাস। তিনি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘একরত্তি শিশুদের এইভাবে চলে যাওয়া, তাদের পরিবারের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর। এই ঘটনায় হু-এর তরফ থেকে মেডিক্যাল সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, বিশেষ চারটি কফ সিরাপ খাওয়ার ফলে কিডনি বিকল হয়ে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে।’
টেড্রস গেব্রেয়াসাস আরো জানিয়েছেন, চারটি কফ সিরাপ ভারতীয় কোম্পানি মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি। যার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।