ডিবিএন ডেস্কঃ পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় গত তিনদিনে ৬৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১০ জনের বেশি মানুষ। আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড়ের এসপি এসএম সিরাজুল হুদা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার ভোরবেলা থেকে আউলিয়াঘাটে পুনরায় উদ্ধারকাজ শুরু করেন ডুবুরি, ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও স্থানীয়রা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মঙ্গলবার আরও ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৪৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৫১ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান দীপঙ্কর রায় বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে মরদেহ সৎকারের জন্য ২০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, বোদার মাড়েয়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীর অপরপাড়ে বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া পূজা উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। রোববার দুপুরের দিকে মূলত ওই ধর্মসভায় যোগ দিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকাযোগে নদী পার হচ্ছিলেন। তবে ৫০-৬০ জনের ধারণক্ষমতার নৌকাটিতে দেড় শতাধিক যাত্রী ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নদীর মাঝপথে নৌকাটি ডুবে যায়। অনেকে সাঁতরে তীরে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা বিশেষ করে নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। ধারণা করা হচ্ছে— স্রোতের কারণে অনেক মরদেহ পানিতে ভেসে যেতে পারে।
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
উল্লেখ্য, গত রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়াঘাট এলাকায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী এবং অধিকাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী।