তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে খামারের ২০০টি হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলার সদর ইউনিয়ন জায়ফরনগরের নয়াগ্রামে ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারী রাজু আহমেদ (২৮)। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
জানা যায়, খামার মালিক রাজু আহমেদ বাড়ির পাশেই দশ বছর ধরে হাঁসের খামার করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। প্রায় ছয় মাস আগে ৫০০ হাঁসের বাচ্চা নিয়ে তিনি খামার শুরু করেন। ১দিন বয়সের হাঁসের বাচ্ছা কিনে ৬ মাস লালন পালনে তার খরচ দাড়ায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার দিন খামারের পাশের জমিতে ধানের সাথে বিষ মিশিয়ে কে বা কারা প্রায় ২শত হাঁস মেরে ফেলেছে। ২ শত হাঁস হারিয়ে তিনি এখন পথে বসেছেন।
খামারের মালিক রাজু আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, আমার পাশের খামারী উপজেলার বাছিরপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে লিটন মিয়া প্রায় সময় আমার হাঁস চুরি করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে আশেপাশের মানুষজন বেশ কয়েকবার গ্ৰাম্য মুরব্বিদের নিয়ে বিচারও করেছেন। গতকাল হাঁসের খামার নিয়ে তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে। লিটন মিয়া এই আমার এ ক্ষতি করতে পারে। আমি পুলিশের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতি পূরন দাবি করছি।
অভিযোগের বিষয়ে লিটন মিয়া জানান, এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। তবে পাশের খামারী হিসেবে এখন পর্যন্ত ঘটনা দেখতে গেছেন কিনা প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
এলাকাবাসীর ও সন্দেহের তীর লিটন মিয়ার দিকে।
সদর ইউপি জায়ফরনগর চেয়ারম্যান হাজী মাসুম রেজা বলেন, বিষ টোপ দিয়ে হাঁস নিধনের ঘটনা নতুন নয়। তিনি এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান।
এঘটনায় নিন্দা জানিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, মানুষের সাথে মানুষের শত্রুতা থাকতে পারে। তাই বলে হাঁস মেরে প্রতিশোধ নিতে হবে? এ কেমন নিষ্ঠুরতা! এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানান ।
এ বিষয়ে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে এসআই সৈয়দ আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন।