ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ নেপালকে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা ১৯ সেপ্টেম্বর কাঠমুন্ডু দশরথ স্টেডিয়ামে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় নারী ফুটবল দল আর সে দলের হয়ে ২জন ছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার স্বপ্না ও সোহাগী।
ইতিহাস গড়া এ খেলায় অংশ গ্রহন করেছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির দুই কৃত্তি খেলোয়ার স্বপ্না রাণী ও সোহাগী কিসকু। এই খবরে ২০ সেপ্টেম্বর তাদের বাসায় ভীড় জমায় স্থানীয় লোকজন। কুড়ের ঘরে থাকা শ্রমজীবি বাবার ঘামঝরা আদরে বেড়ে উঠা স্বপ্না রাণী ও বর্গাচাষী বাবার দরিদ্র জয় করে সোহাগী কিসকু আজ দেশের সম্পদ।
দারিদ্র স্বপ্না রাণীর বাবা নিরেন চন্দ্র মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল বাংলা নিউজকে বলেন, আমার ৩ মেয়ে ১ ছেলে সব চেয়ে ছোট হচ্ছে স্বপ্না রাণী সে আজ জাতীয় দলের খেলোয়ার। শুধু দারিদ্র নয় একসময় আমার পরিবারকে লড়াই করতে হয়েছে ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কারের সাথে। তারা অনেকেই বলতো মেয়ে মানুষকে হাফ প্যান্ট পরে ফুটবল খেলা ঠিকনা। এবং কি তাদের নাকি বিয়ে দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়বে। কিন্তু সে বাঁধা উপেক্ষা করে আমার মেয়ে প্রতিদিন খেলার মাঠে যেতো। তার খেলার সামগ্রী বুট, জার্সি, ঔষধ এবং মাঠে যাওয়ার জন্য একটি বাইসাইকেল কিনে দেয় রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম। আজ চ্যাম্পিয়ান হওয়ায় আমার খুব আনন্দ লাগছে।
সোহাগী কিসকুর বোন ইপিনা কিসকো বলেন, আজকে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল জয়ী হয়েছে। এতে আমার বোন রয়েছে আমরা সবাই খুশি আর সেই সাথে ঠাকুরগাঁও জেলাবাসী তাদের জন্য গর্ববোধ করছি।
এ প্রসঙ্গে রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, নারী ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ান হওয়ায় আমাদের জন্য গর্ব।
এজন্য বাংলাদেশ দলকে আমি অভিনন্দন জানাই। এ বিজয় আমাদের জন্য যেমন গর্বের তেমনি ঠাকুরগাঁওয়ের জন্য একটু বেশি গর্বের। কারণ আমাদের জেলার স্বপ্না ও সোহাগী দুজনেই খেলোয়ার। তারা বুধবার বাংলাদেশে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুরকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, প্রথমত বাংলাদেশ ফুটবল দল কে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে এ উপজেলার দুজন খেলোয়ার জাতীয় দলের হয়ে খেলায় অংশগ্রহন করায় তাদের জন্য আমরা গর্বিত। তারা আগামি ৫ অক্টোবর ছুটিতে আসলে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।