রাজনীতি ডেস্কঃ রাজধানীর পল্লবীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে হামলার ঘটনায় প্রায় ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছে বিএনপি। মামলার আবেদনে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ ২০ জনের নামোল্লেখ এবং বাকিদের অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী।
মামলার আবেদনে যাদের নামোল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পি, রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি রজ্জব হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কাশেম মোল্লা, ঢাকা-১৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তুহিন, আওয়ামী নেতা শেখ মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিটু, সালাউদ্দিন রবিন, ঢাকা উত্তর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইসহাক মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা হাজি তোফাজ্জল হোসেন টেনু, রূপপুর থানা যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ সালমা চৌধুরী।
এ বিষয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আদালত মামলার শুনানি গ্রহণ করেছেন। আশা করি দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ পুলিশের গুলিতে ভোলায় নুরে আলম, আবদুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওন হত্যার প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর মিরপুরে সমাবেশের আয়োজন করছিল বিএনপি। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।