ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গরুর ল্যাম্পি স্কীন রোগ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে। রোগে এ পর্যন্ত কোন গরুর মৃত্যু না হলেও উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে শতশত গরু আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিটি বাড়ীতে এক/দুইটি করে গরু এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এবং এ রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গরুর মালিকরা।
সরেজমিনে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বারাইতারী ও বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোগারকুটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি বাড়ীর এক-দুইটি করে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বারাইতারী গ্রামের সাইদুল হকের ২টি,আমজাদ হোসেনের ১টি, আশরাফ আলীর ১টি, রেজাউল হকের ১টি ঘোগারকুটি গ্রামের গোলাম মোস্তফার ২টি, আজাদ আলী, শফিকুল ইসলাম ও আলী হোসেনের ১টি করে গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
তারা জানান, গরু এ রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে গায়ে ফোস্কার মত ফুলে যায়। পরে মুখে ঘা হয় এবং পা ফুলে গিয়ে গরু দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রথমে পল্লী প্রাণী চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়ে উন্নতি হয়নি। পরে সরকারী চিকিৎসকের চিকিৎসা নেওয়ায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ধীরে ধীরে গরু সুস্থ হচ্ছে। তারা আরও বলেন, এ রোগের চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। ইনজেকশন, ঔষধ ও ডাক্তারের ফি সহ গরু প্রতি প্রায় ৫ হাজার টাকা ব্যয় হলেও এখনও গরু সুস্থ হয়নি।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সুত্র জানায়, নিবন্ধিত খামার এবং প্রান্তিক পশু পালনকারী সহ উপজেলায় প্রায় ৭৫ হাজার গরু পালন করা হচ্ছে। খামারীদের গরু এ রোগে বেশি আক্রান্ত না হলেও প্রান্তিক পশু পালনকারীদের গরুই বেশি আক্রান্ত হয়েছে। এটা ছোয়াছে রোগ হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) ডাঃ আতিকুজ্জামান বলেন, এ রোগ প্রতিরোধের কোন টীকা নেই। গরুর সঠিক পরিচর্যা এবং বাসস্থান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি। আক্রান্ত গরুর চিকিৎসার জন্য দ্রুত উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয় হচ্ছে।