নিজস্ব প্রতিবেদক, লক্ষীপুরঃ ঘর বেধেছেন লক্ষ্মীপুরের সমকামী দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। সমকামীর হল রাইশা ও এসএসসি পরীক্ষার্থী মম। তারা প্রায় দেড় বছর ধরে সংসার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে বিবাহের এফিডেভিট করে বিয়ের পর তারা সংসার করছেন বলে জানা গেছে। জানা যায়, বছর দেড়েক আগে স্কুল শিক্ষার্থী মম এর সাথে চাচাতো ভাইয়ের শ্যালিকা মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রাইশার সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্রে তাদের মাঝে শুরু হয় প্রণয়। পরে মম পুরুষ সেজে ছদ্ননাম ব্যবহার করে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে বিবাহের এফিডেভিট করে। দুইজনে দেড় বছর ধরে গোপনে সংসারও করেন।
আলোচিত এ ঘটনার কিছুই জানতেন না জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা। ঘটনা জানাজানির পর এঘটনার তীব্র নিন্দা ও বিচার চাইলেন স্থানীয়রা। অভিযুক্ত ছেলে সাজা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামের বাসিন্দা, মেয়ে মম বিজয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং একই উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এফিডেভিট সূত্রে জানা যায়, গেলো বছর ৮ জুলাই আনোয়ার হোসেনের মেয়ে মম (ছদ্মনাম) ছেলে সেজে আহিমুন ইসলাম নাম ব্যবহার করে তোফায়েল আহম্মদের মেয়েকে তিন লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহ করেন।
দুই অভিযুক্তের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার তোফায়েল আহম্মদের মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বরের বাড়ীতে বিবাহের এফিডেভিট কপি পাঠিয়ে বিয়ে ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে (সমকামী কন্যা) মম (ছদ্মনাম) এর বিরুদ্ধে। সমকামিতার ঘটনা আড়াল রেখে প্রায় দেড় বছর ধরে তাদের এই সম্পর্কের কথা শুনে খোদ দুই বাড়ীর বাসিন্দারাও হতবাক! এদিকে এধরনের ঘটনাকে কেয়ামতের আলামত উল্লেখ করে এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে এফিডেভিটদাতা সহ প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান স্থানীয়রা।
এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা উল্লেখ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। ছেলে সেজে (সমকামী কন্যা) মম (ছদ্মনাম) জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা দুইজনে সকলের অগোচরে একসাথে সংসার করেছেন। সমকামীতায় আসক্ত হওয়ার জন্য তিনি মাদ্রাসা ছাত্রী রাইশাকেই দায়ী করেন।
এদিকে কনে রাইশার মা জানান, মঙ্গলবার মেয়ের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক থাকলেও সকালে বর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিয়ের জন্য মেয়েকে দেয়া নাকের ফুলটিও পরে তারা নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে এভিডেভিট দাতা এডভোকেট মোঃ শামসুদ্দিন এর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করেও কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।