তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: এক যুগের অধিক সময় থেকে বড় ভাই সাংবাদিক আব্দুর রব ভুট্টো সপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনলাইন টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। দেশে থাকাকালীন সময়েও তিনি সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রবাসে যাওয়ার পর দীর্ঘ সময় থেকে পরিবারের সঙ্গে নেই তার সম্পর্ক। যুক্তরাজ্যে তার সার্বিক কর্মকাণ্ডের তদারকির কথা বলে শুক্রবার গভীর রাতে কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ এর ৫নং ওয়ার্ডের ৫ বারের নির্বাচিত সদস্য, উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল মুক্তাদির মনুকে আটক করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গভীর রাতে একদল ডিবি পুলিশ তাকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। আটকের পর তাকে কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ জানায় তাকে ৫৪ ধারায় আটক করা হয়েছে। গতকাল সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছালেক ৫৪ ধারায় আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে বলেন, আব্দুল মুক্তাদির মনুর সঙ্গে তার বড় ভাই লন্ডন প্রবাসী আব্দুর রব ভুট্টোর যোগসূত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আব্দুর রব ভুট্টো দীর্ঘদিন থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তিনি সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আব্দুর রব ভুট্টো সরকার ও দেশবিরোধী লেখনী অব্যাহত রেখেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুফিয়ান আহমদ জানান, আব্দুল মুক্তাদির মনু উপজেলা বিএনপি’র ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক। তিনি বিএনপি করলেও সকল দল ও মতের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে চলেন। দীর্ঘদিন থেকে তার ভাইয়ের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। এক যুগের অধিক সময় থেকে আব্দুর রব ভুট্টো দেশের বাইরে। তারা বলেন- বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তার ওপর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা হলেও সেগুলো খারিজ হয়েছে। জানা মতে, তার ওপর আর কোনো মামলা নেই। ভাইয়ের কোনো এক্টিভিটির কারণে ভাইকে আটক করা দুঃখজনক, অমানবিক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
আব্দুল মুক্তাদির মনুর স্ত্রী নিগার সুলতানা বলেন, ভাসুর আব্দুর রব ভুট্টোর সঙ্গে আমার স্বামী বা আমাদের পরিবারের কারোরই সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন। ৮-১০ বছর আগে উনার স্ত্রী সন্তানদেরকেও লন্ডনে নিয়ে যান। ভাই যদি অপরাধ করেন তাহলে অন্য ভাই কেন হাজতে যাবে। আমার স্বামী সব মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে চলেন। মানুষ ভালোবাসে তাই যতবার তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন ততবারই তিনি ভোটে জয়ী হয়েছেন। ২৪ বছর থেকে জনপ্রতিনিধির দায়িত্বে পালন করছেন। আমার দুই পুত্র সন্তান সারারাত বাবার অপেক্ষা করেছে। আমার স্বামী নিরপরাধ। তার মুক্তি চাই। অচিরে মুক্তির দাবি জানাই।