অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে রাতের আধারে পরকীয়া প্রেমিকার সাথে মিলিত হতে গিয়ে জনতার হাতে আটক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে থানা হেফাজতে রাখার ১৮ ঘন্টা পর পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এর আগে বুধবার রাত দুইটার দিকে ৯৯৯ এ স্থানীয়রা কল করলে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিক্ষকসহ ভুক্তভোগী নারীকে থানায় নিয়ে আসে। পরে ওই নারীর কোন অভিযোগ না থাকায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শিমুলবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল আলম মিয়া সোহেলের উপস্থিতিতে থানা হেফাজতে থাকা নারীকে তার মামা রবিউল ইসলামের জিম্মায় এবং শিক্ষক নুরুজ্জামান খন্দকারকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
জানা গেছে, পুর্ব ফকিরপাড়া জকুরটল এলাকার এক সন্তানের জননী ওই নারীর স্বামী ঢাকায় চাকুরী করায় তিনি সন্তানসহ বাড়ীতে একা থাকেন। স্বামী বাড়ীতে না থাকায় উপজেলার উত্তর ঘোগারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোঘারকুটি গ্রামের আফতাব উদ্দিন খন্দকারের ছেলে দুই সন্তানের জনক নুরুজ্জামান খন্দকার (৪৮) ওই নারীর সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। দীর্ঘদিন ধরে মেলামেশা চলতে থাকার এক পর্যায়ে বুধবার গভীর রাতে আবারও পরকীয়া প্রেমিকার সাথে মিলিত হতে যান শিক্ষক নুরুজ্জামান।
পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে রাত দুইটার দিকে ওই নারীর ঘর থেকে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। স্থানীয়রা ৯৯৯ এ ফোন করলে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিক্ষক সহ ওই নারীকে থানা হেফাজতে নেয়।
ঘোগারকুটি গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুুর রহমানসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করেন বলেন, শিক্ষক নুরুজ্জামানের স্বভাব চরিত্র ভালো নয়। এর আগেও তিনি তারই এলাকার এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে মোটা অংকের টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়েছিলেন। এবারও তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সবাইকে ম্যানেজ করে পার পেয়ে গেলেন। এভাবে অর্থের বিনিময়ে অপকর্ম ধামাচাপা দেয়া হলে, সমাজে অপরাধ প্রবনতা বাড়তেই থাকবে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেন। স্থানীয় অভিভাবক, এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ওই শিক্ষককের বিরুদ্ধে শিক্ষা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করার কথাও বলেন তারা।
শিমুলবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল আলম মিয়া সোহেল জানান, ভিকটিমের অভিযোগ না থাকায়, আমার উপস্থিতিতে ওই নারীকে তার মামার জিম্মায় এবং শিক্ষককে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। লেনদেন হয়েছে কিনা তা আমার জানা নাই।