কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে রাতের আধারে পরকীয়া প্রেমিকার সাথে মিলিত হতে গিয়ে সরকারী (জাতীয়করণকৃত) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক জনতার হাতে ধরা পরেছে। পরে জনতা তাকে ফুলবাড়ী থানায় সোপর্দ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের পুর্ব ফকিরপাড়া জকুরটল এলাকায়।
জানা গেছে, পুর্ব ফকিরপাড়া জকুরটল এলাকার তাজুল ইসলাম ঢাকায় চাকুরী করার সুবাদে তার স্ত্রী জান্নাতী বেগম (২৭) সন্তানসহ বাড়ীতে একা থাকেন। স্বামী বাড়ীতে না থাকায় উপজেলার উত্তর ঘোগারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোঘারকুটি গ্রামের আফতাব উদ্দিন খন্দকারের ছেলে দুই সন্তানের জনক নুরুজ্জামান খন্দকার (৪৮) ওই নারীর সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। দীর্ঘদিন ধরে মেলামেশা চলতে থাকার এক পর্যায়ে বুধবার গভীর রাতে আবারও পরকীয়া প্রেমিকার সাথে মিলিত হতে যান শিক্ষক নুরুজ্জামান। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে গভীর রাতে ওই নারীর ঘর থেকে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিক্ষককে আটক করে এবং প্রেমিকা জান্নাতী বেগমকে হেফাজতে নেয়।
ওই নারীর স্বজন রবিউল ইসলাম জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে শিক্ষক নুরুজ্জামান আমার ভাগ্নির সাথে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে আসছে। এখন আমরা মামলা করার জন্য থানায় এসেছি। ওই শিক্ষককের উপযুক্ত বিচার চাই।
ভু্ক্তভোগী জান্নাতী বেগম জানান, শিক্ষক নুরুজ্জামান বিয়ে করার কথা বলে দীর্ঘদিন থেকে আমার সাথে সম্পর্ক করে আসছে। সে আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্নহত্যা করবো।
উত্তর ঘোগারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ছাবেদ আলী জানান, শুনেছি নারীঘটিত কারনে সহকারী শিক্ষক নুরুজ্জামান খন্দকার ফুলবাড়ী থানা হাজতে আটক আছেন। ০৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হননি। তাই শিক্ষক হাজিরা খাতায় তার স্বাক্ষরের জায়গায় অনুপস্থিত লেখা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুজ্জামান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। পরবর্তিতে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে শিক্ষক নুরুজ্জামানের প্রতিবেশীসহ স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক নুরুজ্জামানের স্বভাব চরিত্র ভালো নয়। এর আগেও তিনি তারই এলাকার এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে মোটা অংকের টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়েছিলেন।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।