বিনোদন ডেস্কঃ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদক প্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক ও লেখক আবুল হায়াত আজ (৭ সেপ্টেম্বর) ঊনআশিতে পা দিয়েছেন। ১৯৪৪ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। থিয়েটার, টিভি নাটক, বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে এখনো তার উপস্থিতি দর্শককে মুগ্ধ করে। নিজেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়ে গেছেন চরম শীখরে।
গুণী এই অভিনেতা বহুবছর ধরে টিভি নাটকে, সিনেমায় আর বিজ্ঞাপনে সফলতার সাথে অভিনয় করে আসছেন। জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ রচিত প্রচুর নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন। ‘মিসির আলি’ তার একটি স্মরণীয় চরিত্র। তার প্রথম নাটক ইডিপাস ১৯৬৯ সালে বের হয়েছিল। এর পর একে একে ৫০০ এরও অধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। শুধু অভিনয়ে নয়, চিত্রনাট্য ও পরিচালনার সঙ্গেও তিনি জড়িত।
১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন আবুল হায়াত। তার বাবা আব্দুস সালাম ছিলেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে ওয়াজিউলস্নাহ ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক। সেই সুবাদে স্কুল জীবন কাটে তার চট্টগ্রাম কলেজিয়টে ও রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে মেট্রিকুলেশন (বর্তমান এসএসসি) পাস করে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আইএসসি পাস করে ১৯৬২ সালে বুয়েটে ভর্তি হন। বুয়েটে পড়ার সময় শেরেবাংলা হলে থাকতেন। এরপর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে ১৯৬৭ সালে পাস করে ১৯৬৮ সালেই ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী পদে যোগ দেন।
পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে তিনি বিয়ে করেন মাহফুজা খাতুন শিরিনকে। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান বিপাশা হায়াত। এর ৬ বছর পর জন্ম নেয় নাতাশা। অভিনেতা-নির্মাতা তৌকীর আহমেদের সঙ্গে বিপাশা হায়াতের বিয়ে হয়। অন্য মেয়ে নাতাশার বিয়ে হয় অভিনেতা শাহেদের সঙ্গে। দুই মেয়েই এখন সংসার জীবনে দারুণ সুখী।