তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন এর উদ্যোগে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আসন্ন দূর্গা পূজা উদযাপনে নেয়া হবে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টোম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ। জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহ্সান এর সভাপতিত্বে এডিএম শাহিনা আক্তারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, ৪৬ বিজিবি’র অধিনায়ক মো: মিজানুর রহমান শিকদার, মৌলভীবাজার পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, আনসার জেলা কমাড্যান্ট মো: সেফাউল হোসেন, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও পিপি এডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি আশু রঞ্জন দাশ ও সম্পাদক মহিদ দে।
র্যাব-৯, শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের প্রতিনিধি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকসহ অনেকে।
উপজেলা চেয়ারম্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জের বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রফিকুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভানু লাল রায়, কুলাউড়া পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ।
আলোচনা সভায় আসন্ন দূর্গাপূজায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা ও ব্যবস্থার জন্য সিদ্ধান্ত হয়। গত বছর দূর্গা পূজায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অনাকাঙ্কিত ঘটনা ঘটার দায়ে এবছর বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রতিটি মন্ডপে নিজস্ব সেচ্ছাসেবক ছাড়াও পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ডপে মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায় মিলিয়ে একটি করে সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এবছর জেলায় এক হাজার ১১টি মন্ডপে দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে জেলা পূজা উদযাপন কমিটি।
জেলা পূজা কমিটির সাধারন সম্পাদক বলেন, এক একটি সুন্দর পূজা অনুষ্ঠানে বদ্ধ পরিকর তারা। এজন্য নিজেদের মধ্যে সেচ্ছাসেবকসহ বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। তিনি বলেন, সার্বজনীন এপূজাকে কোনও প্রতিবন্ধকতা ছাড়া পালন করতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতাও কামনা করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহ্সান বলেন, দূর্গা পূজাকে সুন্দর করে তুলতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্ঠা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিটি মসজিদ কমিটিকে নির্দেশ প্রদান করা হবে যাতে করে মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিন ছাড়া মসজিদের মাইক কেহ ব্যবহার করতে না পারে। সবাইকে সহযোগীতার হাত বাড়ানোর দাবিও জানান তিনি। সর্বপ্রকার আইনিভাবে প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।