নওগাঁ প্রতিনিধি : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব এবং টিসিবি’র কার্ডহোল্ডারদের মধ্যে নায্যমূল্যে চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। দেশে পর্যপ্ত চাল মজুদ থাকা সত্বেও সম্প্রতি হঠাৎ করে বাজারে চালের মূল্য কেজি প্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোক্তাদের অসুবিধার কখা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে মানবিক এই কর্মসূচী গ্রহন করা হচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নওগাঁ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে খাদ্য বিভাগ আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, ইতিপূর্বে সারাদেশে ৮১৩টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ১ মেট্রিক টন করে চাল সরবরাহ করা হতো। আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে দেশে ২ হাজার ৩শ ৬৩টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ২ মেট্রিক টন করে চাল সরবরাহ করা হবে। এসব কেন্দ্রে টিসিবি’র কার্ডহোল্ডারদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, দেশে বর্তমানে ১৯ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৩১ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ রয়েছে। খাদ্যশষ্য সংগ্রহ অভিযানের আরও দু’দিন বাঁকী রয়েছে। অর্থাৎ এ দু’দিনে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য সংগৃহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি মহল সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে সাধারন মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার লক্ষেই এই অপতৎপরতা চালাচ্ছে। কিন্তু জনবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রকারীদের সকল অপতৎপরতা নস্যাৎ করে সাধারন মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে যার কিছু করা দরকার তার সব কিছু করে যাচ্ছেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিটি ওএমএস কেন্দ্রে টিসিবি’র কার্ডধারীদের প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা মূল্যে মাসে দু’বার ৫ কেজি করে চাল দেয়া হবে। টিসিবি’র কার্ড নাই এমন সাধারন মানুষদের এন আই ডি কার্ডের বিপরীতে একই পরিমাণ চাল দেয়া হবে। এ ছাড়াও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় সারাদেশে ৫০ লক্ষ পরিবারকে প্রতি কেজি ১৫ টাকা মূল্যে প্রতি পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরন করা হবে।
অপরদিকে ঢাকা মহানগরে ৫০টি ট্রাকে উন্মুক্তভাবে চাল বিক্রি করা হবে। কর্মসূচীতে প্রতিদিন প্রত্যেকটি ট্রাকে ২ মেট্রিক টন করে চাল ওএমএস-এর আওতায় বিক্রি করা হবে বলে প্রেসব্রিফিং এ জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। একই ব্যক্তি যাতে বার বার এসব কর্মসূচীতে চাল আটা সংগ্রহ করতে না পারে সে জন্য টিসিবি কার্ডহোল্ডারদের কার্ডে সীলমোহর দেয়া হবে। অপরদিকে সাধারন ভোক্তাদের জাতীয় পরিচল পত্রে অনুরুপভাবে সীলমোহর প্রদান করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে চলতি আউশ মওসুমে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ পরিমাণ ধান উৎপাদিত হচ্ছে। একদিকে আউশের পর্যাপ্ত উৎপাদন অপরদিকে বিপুল সংখ্যক মানুষকে ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। কাজেই বাজারে ইতিমধ্যেই চালের দাম কমতে শুরু করেছে। খুব শীঘ্রই চালের দাম স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে চলে আসবে।
এ সময় নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, মন্ত্রী’র একান্ত সচিব মোঃ শহিদুজ্জামান -সহ খাদ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।