ডিবিএন ডেস্কঃ ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের লিটারে ৫ টাকা দাম কমানোর কারনে নতুন দাম অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম পড়বে ১০৯ টাকা, অকটেনের দাম ১৩০ টাকা ও পেট্রোলের দাম পড়বে ১২৫ টাকা। যার ফলে বাসভাড়া কমাতে মালিকদের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি। গতকাল সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর বাসভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। এখন সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমানোয় বাসভাড়া কমাতে পরিবহন মালিকদের আপত্তি নেই। শিগগিরই এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠক হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, কিছুটা কর কমানোয় জ্বালানি তেলের মূল্যে সমন্বয় করা হলো। বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে আবারও সমন্বয় করা হবে।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গতকাল প্রজ্ঞাপনে আগামী ৩১/১২/২০২২ পর্যন্ত ডিজেলের উপর আরোপণীয় সমুদয় আগাম কর থেকে অব্যাহতি এবং আমদানী শুল্ক ১০% এর পরিবর্তে ৫% নির্ধারণ করার ফলে ভোক্তা পর্যায় জ্বালানি তেল ডিজেল,কেরোসিন, অকটেন ও পেট্টোল -এর মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা এখনো মনে করি সাধারণ মানুষের জন্য বর্তমান দামটাও একটু বেশি হয়ে যায়। সবার প্রতি অনুরোধ একটু ধৈর্য্য ধরুন। আশা করি এই কঠিন সময় খুব বেশিদিন থাকবে না। জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার কোনো অবস্থায়ই জনগণের কষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করতে চায় না। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আমাদেরকে নিরুপায় হয়েই জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের পথ বেছে নিতে হয়েছে।
অন্যদিকে বিপিসি জানিয়েছে, প্লাটস অনুসারে গত ২৬ আগস্ট ডিজেলের মূল্য ছিল ১৪৭.৬২ মার্কিন ডলার/ ব্যারেল। সে অনুযায়ী প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য পড়ে ১২৮.৬১ টাকা। অর্থাৎ ১০৯ টাকা ধরে ডিজেল বিক্রয় করলে প্রতি লিটারে বিপিসির লোকসান হবে ১৯.৬১ টাকা। আর বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে জ্বালানি তেল বিক্রয়ে (সব পণ্য) ৮ হাজার ১৪ দশমিক ৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৫ আগস্ট ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়। কেরোসিন ও ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা এবং ৮৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।