তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে সাধারণ চা শ্রমিকেরা মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল। তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, যেভাবে চেয়েছিলাম, তা পেয়েছি। শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিবেন।
শনিবার (২৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা শিল্প মালিকদের বৈঠকে এই মজুরি নির্ধারণ করা হয়। চা বাগান মালিকপক্ষের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদ (বিটিএ) চেয়ারম্যান শাহ আলমের নেতৃত্বে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়েনে। তিনি রাত আটটায় বলেন, ‘পুরো শ্রমিকজাতি চেয়ে ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখের দিকে। তিনি মজুরি ঘোষণা করেছেন শ্রমিকেরা মেনে নিয়েছে। কাল থেকে কাজে ফিরে যাবে। তিনি মানসম্মত মজুরি নিধারণ করে দিয়েছেন তাঁর প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ।’
তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কিছু সাধারণ শ্রমিকদের উস্কে দিয়ে আন্দোলন করতে চায়, তাঁরা কখনো চা শ্রমিকের মঙ্গল চায় না।’ কালিঘাট চা পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অভান তাঁতি বলেন, ‘আমরা মানসম্মত মজুরি পেয়েছি। আমরা কালিঘাট নাট মন্দিরে সাধারণ শ্রমিকেরা জড়ো হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল শ্রমিকরা। ঘোষণা দেওয়ার পর এখন সবাই খুশি, আমাদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি নাই।’
প্রসঙ্গত: ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চলতি মাসের ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি ও পরে ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করে আসছেন চা শ্রমিকরা। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও সেটা মানছেন না সাধারণ শ্রমিকেরা। আন্দোলন সফল করতে সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ করতে দেখা গেছে তাঁদের। দাবি আদায়ে গত কয়েক দিন ধরে বেশ উত্তাল ছিল চা বাগানগুলো। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে খবর আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার চা বাগানের মালিকদের সঙ্গে সভা করবেন। শনিবার বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। এতে সাধারণ শ্রমিকেরা মেনে নেন।