মোঃ মিনহাজ উদ্দীন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার কর্মরত দুই সাংবাদিককে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতনের পর তাদের কাছে চাঁদাদাবী ও তাদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার ও মানহানিকর লেখা প্রকাশের বিরুদ্ধে স্থানীয় এরশাদ হোসাইন ও মোহাম্মদ আলাউদ্দিন নামের দু’জনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম ও কলিম উল্লাহ।
বুধবার সকালে উপজেলার বটতলী স্টেশনের হোটেল দি জামান হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মো. জাহাঙ্গীর আলম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি বর্তমানে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দেশের কণ্ঠ পত্রিকায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি ও ইউটিউব চ্যানেল দ্বীপ টিভিতে কর্মরত রয়েছেন।পাশাপাশি এলাকায় মৎস্য প্রজেক্ট সহ বনায়ন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এছাড়াও শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন হিসেবে ৪৯নং ফারাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচিত সভাপতি, মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা হেফ্জখানা ও এতিমখানার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সাতকানিয়া উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান,গত ২৮ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার সহকর্মী কলিম উল্লাহ সহ কয়েকজন মিলে ইনসাফ রেস্তোরাঁয় নাস্তা করার সময় এরশাদ হোসাইন ও তার সহযোগী আলাউদ্দিন তাদেরকে সংবাদ বিষয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে হোটেল থেকে অপহরণ করে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে আটকে রেখে তাদের মারধর করে।
ওই সময় তাদের হাতে থাকা ২টি মোবাইল ফোন এবং পকেটে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর কয়েকটি অলিখিত কার্টিজ পেপারে তিনি ও তার সহকর্মী কলিম উল্লাহ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায় করে নেয়। ঘটনাটি কখনও কাউকে প্রকাশ করলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘৃণ্যভাবে ভাইরাল করার হুমকি প্রদান করেন বলে ও লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ করেন।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় এরশাদ হোসাইন ও আলাউদ্দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি প্রকাশ করলে তিনি ও তার সহকর্মী কলিম উল্লাহর মান সম্মানের চরমভাবে হানি ঘটে। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম ও কলিম উল্লাহ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের বিজ্ঞ আদালতে ২টি চাঁদাবাজী মামলা ও ১টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার পর থেকে এরশাদ হোসাইন ও আলাউদ্দিন তাদেরকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন হুমকি দেন এবং আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য তাদের নিজস্ব ফেসবুক আইডির মাধ্যমে।