কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ জেলায় বরেন্দ্রভুমি অধ্যুষিত সাপাহার উপজেলায় অপ্রচলিত ফসলের সমন্বিত অধিক মূল্যবান বাগান গড়ে তুলেছেন কয়েকজন শিক্ষিত বেকার। এখান থেকে তাঁরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি হওয়ার অপার সম্ভাবনার দ্বারপান্তে উপনীত হয়েছেন।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা দাবী, মৌলিক উন্নয়ন সংস্থা’র সাথে অংশিদারিত্বের ভিত্ত্বিতে স্থানীয় আরও ৫ জন উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুবক এই প্রকল্পটি গড়ে তুলেছেন। ”উচ্চ মূল্যের ফল ও ফসলের জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারন” প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কুচকুড়ুলিয়া গ্রামে ৯ বিঘা জমি ১৫ বছরের জন্য লীজ গ্রহণ করে এই প্রকল্প গড়ে তুলেছেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে পিকেএসএফ প্রকল্প গড়ে তোলার জন্য সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ঐ জমিতে ৯০০টি কফিগাছ, ৮০টি এ্যাভোকেডর, ১২০টি তাইওয়ানের গ্রীন আম ও ১২৫টি সৌদি খেজুর গাছ রোপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে কফি, এ্যাভোকেডর ও তাইওয়ানের আম উৎপাদন শুরু হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যে সৌদি খেজুর উৎপাদন শুরু হবে বলে প্রত্যাশা উদ্যোক্তাদের। এই বাগানে পূর্নাঙ্গভাবে উৎপাদন শুরু হলে প্রতি বছর সব খরচ বাদ দিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা আয় সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা যুবক মোঃ হাসান আলী।
বরেন্দ্র অধ্যুষিত এই এলাকায় মুলত প্রধান শষ্য হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ধান উৎপাদিত হয়ে আসছিল। বর্তমানে ধানের পরেই আম প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি উচ্চ মূল্যের এসব ফসল উৎপাদনের অপার সম্ভবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকদের সংগঠিত করে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন দাবীর নির্বাহী পরিচালক আশরাফুননেছা সীমা জানিয়েছেন, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ-এর অর্থায়নে পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে এলাকার ৫ জন যুবকের সাথে অংশিদারিত্বের মাধ্যমে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন পাইলটিং আকারে গৃহিত এই প্রকল্পটি সফল হলে জেলায় একই কর্মসূচীর আওতায় আরও বিপুল সংখ্যক বেকার যুবকদের সমন্বয়ে ব্যপকভাবে এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ।