আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমাতে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিন হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই জন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী সদস্য এবং বাকিরা বেসামরিক নাগরিক বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত সোমবার (২৫ জুলাই) দেশটির উত্তর কিভু প্রদেশের প্রধান শহর গোমার রাস্তায় জনতা জাতিসংঘ মিশন-এমওএনইউএসসিও’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দেশটিতে জাতিসংঘ মিশনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কয়েক দশকের পুরোনো লড়াই বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরপর গতকাল মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিক্ষোভ আরও উত্তরে বেনি এবং বুটেম্বো শহরে ছড়িয়ে পড়ে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানায়, এক প্রতিনিধি দেখেছেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী সদস্যরা দুই বিক্ষোভকারীকে গুলি করেছেন। তারা নিহত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য পাথর ছুড়ে মারা এবং জাতিসংঘের একটি ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। কয়েকজন বিক্ষোভকারী জাতিসংঘ কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সেনাবাহিনীর পাহারায় এসব কর্মীদের অন্য শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান কর্নেল পল এনগোমা বলেন, বুটেম্বোতে সাতজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, বিক্ষোভকারীরা কঙ্গোলিজ পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর গুলি চালিয়েছে। তারা পাথর ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, ঘাঁটি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
উল্লেখ্য, গোমাতে সোমবার জাতিসংঘের মনুস্কা মিশনের একটিতে কয়েকশ’ মানুষ হামলা চালায় ও লুটপাট করে। বিক্ষোভকারীরা মিশনের দেশত্যাগের দাবি জানায়। মঙ্গলবার আবারও বিক্ষোভ করেন তারা।