তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে এখনও। ১০ দিনেও নামেনি হাকালুকি হাওরের পানি; এতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সড়কের বেশ কিছু স্থানে। জলাবদ্ধতার কারণে নজরেও আসে না সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ এসব খানাখন্দ। ফলে অনেক ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলছে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কে। পানি ঢুকে পথিমধ্যেই বিকল হয়ে পড়ছে যানগুলো। যার কারণে চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এ ছাড়া রাস্তার বেহাল দশার দোহাই দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করছেন অসাধু চালকরা।
সম্প্রতি ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পানিতে তলিয়ে যায় বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান। অবশ্য বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নামতে শুরু করেছে পানি। তবে এখনও তালিমপুর, রতুলী, দক্ষিণভাগ, হাতলিঘাট, বাছিরপুর, জুড়ী বাজার এলাকায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সড়কের এসব অংশে ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এসব স্থানে কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও হাঁটুর নিচে পানি। পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন মানুষজন। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। তবে ছোট যানবাহন খুবই কম চলাচল করছে। যেগুলো চলছে সেগুলোয় পানি ঢুকে বিকলও হচ্ছে। ফলে চালক ও যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। কিছু স্থানে পানি নেমে যাওয়ায় চোখে পড়ছে বড় বড় গর্ত।
অটোরিকশাচালক হামিদ আহমদ বলেন, ‘বন্যার পানি উঠার পর দূরে কোথাও যাত্রী নিয়ে যাই না। আজকে যাত্রী নিয়ে বেরিয়ে বিপদে পড়েছি। পানির কারণে সড়কে গর্ত তৈরি হয়েছে। গর্তগুলো দেখা যায় না। চলতে গিয়ে এসব গর্তে গাড়ি আটকে পড়ছে। পানি ঢুকে গাড়ি বিকল হয়ে যাচ্ছে। বড় ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।’ হাফিজুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, ‘সড়কে অনেক পানি। জরুরি প্রয়োজেন কুলাউড়ায় যেতে হচ্ছে। এখন বেরিয়ে বিপদে পড়েছি। অনেক কষ্টে একটি গাড়ি পেয়েছি। এখন অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে।’
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে অটোরিকশাচালক কামাল আহমদ বলেন, ‘সড়কে গাড়ি চলছে না পানির কারণে। মানুষের কষ্ট দেখে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছি। গাড়িতে পানি ঢুকে নষ্ট হচ্ছে। তা ঠিক করতে টাকা লাগবে। এ কারণে যাত্রীদের কাছ থেকে একটু বেশি ভাড়া নিচ্ছি। এটা দোষের কিছু নয়।’
এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ‘মৌলভীবাজারের বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে পানি খুব ধীরগতিতে নামছে। একদিকে পানি কমলে অন্য দিকে বেড়ে উঠছে। আঞ্চলিক মহাসড়কে পানি নেমে গেলে অবস্থা বুঝে সড়ক মেরামতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’