পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়ে গেছে। রবিবার থেকে গাড়ী চলাচল করবে পদ্মার উপর দিয়ে। একসময় এমন ভাবনা ছিল অবাস্তব। সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছে বর্তমান সরকার। বিশ্বব্যংক যখন সেতু নির্মানের সমুদয় অর্থ ফেরৎ নিয়ে যায় তখন, পদ্মা সেতু নির্মান বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একক সিদ্ধান্তে ঘোষনা দিয়েছিলেন নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মান করবেন। তখনই শুরু হয় বিদ্রুপ আর সমালোচনা।
অনেকেই ভেবেছিল এই সেতু বর্তমান সরকার নির্মান করতে পারবেনা। ঋন দাতারাও ভেবেছিল তাদের অর্থ ছাড়া সেতু নির্মান সম্ভব হবেনা। সেই পদ্মা সেতু নির্মান করে সরকার সকলকে বুঝিয়ে দিয়েছে বাঙালী সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। এর জন্য চাই সঠিক নেতৃত্ব। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাবার মত সেই নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্ব ব্যংক কে চ্যলেঞ্জ করে সেতু নির্মান করে দেখিয়েছেন। এই সেতু এখন ২০ কোটি বাঙালীর সাহসিকতার প্রতিক। এই সেতু সমগ্র বাঙালীর অহঙ্কার।
কিছু নির্বোধ ব্যক্তি রাজনীতির নামে এখনো গলা ফাটিয়ে এই সেতু নিয়ে গলাবাজি করছে। সেতুর ব্যয় আর গুরত্ব নিয়ে জনগনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মির্জা ফখরুল আর রিজভী মিথ্যাচার করছে প্রতিদিন। জনগন উদ্বেলিত হয়ে উৎসব করছে আর এই নেতারা বলছে সরকার লুটপাট করেছে। আমন্ত্রন উপেক্ষা করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যায়নি। দেশের এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নকে উপেক্ষা করে তারা স্বপ্ন দেখে ক্ষমতায় যাওয়ার। জনগন তাদেরকে নিয়ে কি ভাবে তা তারা জানেনা। অথবা জেনেও চোখ বুজে থাকে। নির্লজ্জের মত মনের মাধুরি মিশিয়ে মিথ্যাচার করে টেলিভিশনে বসে। মানুষ এখন প্রশ্ন করে দলটি কি চায়? সব নিয়মাতান্ত্রিক রাজনীতি ছেড়ে, নির্বাচন বর্জন করে কি প্রতিষ্ঠা করতে চায় দেশে? এদের পক্ষ হয়ে যারা গলাবাজি করে তারাও জনবিচ্ছিন্ন। ১০ লক্ষ লোকের সমাগম দেখে এরা এখন দিশেহারা। তাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কি জনগনের জন্য রাজনীতি করবে নাকি মিথ্যার বেসাতি করে জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দেশের বিরোধিতা করবে। পদ্মা সেতু নিয়ে যত বেশী মিথ্যাচার করবে তারা তত বেশী জনবিচ্ছিন্ন হবে। কথাটি তাদের বোধদ্বয় হউক সেই কামনাই করি।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট ও আওয়ামীলীগ নেতা, টরন্টো, কানাডা।