তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল ইউনিয়নের ফানাই-আনফানাই নদী এলাকায় ফানাই ব্রিজের মধ্যবর্তী স্থানে রেললাইনে বন্যার পানি উঠেছে। এছাড়াও কুলাউড়া শহরতলী এলাকার আশপাশেও কয়েকটি স্থানে পানি উঠতে শুরু করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বরমচালের ফানাই-আনফানাই নদীর মধ্যবর্তী এলাকার ওই স্থানের প্রায় ২শ’ ফুট রেললাইনে সোমবার বিকেল থেকে পানি উঠতে শুরু করে। এখন সময় যতই যাচ্ছে ততই বাড়ছে পানি। ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে ওই স্থানের রেললাইন। রেললাইন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এখন গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পানি বাড়তে থাকলে সারাদেশের সাথে সিলেট অঞ্চলের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ সংশ্লিষ্টরা।
গেল কয়েক দিন থেকে টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাকালুকি হাওরের তীরবর্তী কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। কম বেশি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এখনো অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকার ঘরবাড়িতে উঠছে পানি। প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। বৃদ্ধি পাচ্ছে হাওরের পানি। এমতাবস্থায় রেললাইনের ওই স্থানসহ কুলাউড়ার বিভিন্ন স্থানের রেললাইনে পানি উঠায় নতুন করে দুশ্চিন্তায় ফেলছে স্থানীয় বাসিন্দাসহ রেলযাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের।
বরমচাল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. সাজ্জাদ আলী সাজু ও মিজানুর রশিদ সুমন জানান, ফানাই-আনফানাই নদী এলাকায় ওই স্থানটিতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবারের তুলনায় পানি বুধবার দুপুর পর্যন্ত অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা বলেন, এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ওই স্থানটি দিয়ে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার হরিপদ সরকার জানান, গেল ৩ দিন থেকে ওই স্থানটিতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই স্থানে রেল লাইনের ১ ইঞ্চি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানির স্রোত কম থাকায় গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। তবে আর পানি কিংবা স্রোত বাড়লে ট্রেন চলাচল অব্যাহত রাখা যাবে কিনা তা আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি জানান, রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন। তাদের পরামর্শনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে গেল কয়েক দিনের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টি কারণে কুলাউড়া থেকে শমশেরনগর ও কুলাউড়া থেকে মাইজগাঁও পর্যন্ত গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টরা।