তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ধলাই নদীসহ সবগুলো পাহাড়ি ছড়ায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ধলাই নদীর পানি যেকোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এদিকে টানা বর্ষণের ফলে উপজেলার টিলাঘেষা এলাকাগুলোতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের মাঝে সতর্কতা জারি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
শনিবার ভোর থেকে ধলাই নদী, লাঘাটা ছড়াসহ সবগুলো পাহাড়ি ছড়ায় পানি বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। ধলাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেও শনিবার বিকেল পর্যন্ত বিপৎসীমার খুব কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।
নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন জানান, পানি প্রবাহের ধারা দেখে মনে হচ্ছে উজানে ভারতীয় অংশে বৃষ্টিপাত না থামলে যে কোন সময় নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে যেতে পারে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কমলগঞ্জের পর্যবেক্ষক সাকিব আহমেদ জানান, শনিবার বিকেল পর্যন্ত কমলগঞ্জে ধলাই নদীর রেল সেতু এলাকায় পানি বিপৎসীমা অতিক্রম এখন ও করেনি। পানি বিপৎসীমার ১ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, উজানে ভারতীয় ত্রিপুরা এলাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। উপজেলা লঙ্গুরপার এলাকায় ধলাই নদীর বাঁধের কিছু অংশে ধসে বাঁধ ভেঙেছে। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের কাজ হচ্ছে এবং চলমান।
ভারী বৃষ্টিপাতের সময় পাহাড় ধসে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্রবার বিকেলেই টিলাঘেষা কালেঙ্গা, রাজটিলা, ভেড়াছড়া ও বাঘমারা এলাকা পরিদর্শন করে সেসব স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদে থাকার সতর্কতা জারি করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত উদ্দীন বলেন, ‘ধলাই নদী ও আশপাশের পাহাড়ি ছড়ায় পানি বেড়েছে। সে পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন এ দিকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। ’
এদিকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রামাঞ্চলে শাক-সবজির ফসলি খেত তলিয়ে গেছে। ফলে শনিবার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে শাক-সব্জির সরবরাহ ছিল খুবই কম।
ভানুগাছ বাজারের শাক-সব্জির আড়তদারদের একজন বলেন, ‘গ্রামের শাক-সব্জি বিক্রেতারা তাদের উৎপাদিত শাক-সব্জি বাজারে নিয়ে আসতে পারছেন না। আর বাজারে শাক-সব্জির চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশ কম বলে কিছুটা দাম বেড়েছে। আরও ২/১ দিন এভাবে বৃষ্টিপাত হলে শাক-সব্জির দাম আরও বাড়তে পারে বলে মনে করেন।