বিনোদন ডেস্কঃ বাংলার পপ সঙ্গীতের কিংবদন্তী শিল্পী আজম খান এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১১ সালের ৫ জুন সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। বাংলাদেশে পপগানের সূচনা হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। আর তাইতো দেশের সবাই একবাক্যে তাকে এ দেশের পপসংগীতের ‘গুরু’ হিসেবে চিনেন।
১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনির ১০ নম্বর কোয়ার্টারে বাংলাদেশের এই রক গানের জনকের জন্ম। বাবা আফতাবউদ্দিন আহমেদ, মা জোবেদা খাতুন।
আজম খান শুধু পপশিল্পী হিসেবেই নন, স্বাধীনতাযুদ্ধের অন্যতম একজন বীরযোদ্ধাও ছিলেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালে লাকী আখন্দ ও হ্যাপি আখন্দ দুই ভাইকে নিয়ে ‘উচ্চারণ’ নামের একটি গানের দল গড়েন তিনি। এর মধ্য দিয়েই পপসংগীতে আজম খানের যাত্রা শুরু হয়।
এরপর সে বছরই বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে নারে’ ও ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’- এই গান দুটি তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। এছাড়াও ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘রেল লাইনের ঐ বস্তিতে’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘হারিয়ে গেছে খুঁজে পাব না’- এ গানগুলো গেয়ে শ্রোতাদের তিনি মাতিয়ে তোলেন।
১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনির ১০ নম্বর কোয়ার্টারে বাংলাদেশের এই রক গানের জনকের জন্ম হয়। বাবা আফতাবউদ্দিন আহমেদ, মা জোবেদা খাতুন। ১৯৮১ সালের ১৪ জানুয়ারি ৩১ বছর বয়সী আজম খানের সঙ্গে বিয়ে হয় সাহেদা বেগমের। আজম খান দুই মেয়ে এবং এক ছেলের জনক।
উল্লেখ্য, তিনি ক্যানসারের সঙ্গে এক বছরেরও বেশি সময় লড়েছিলেন। সে যুদ্ধে পরাজয় মেনে নিয়ে যাওয়ার আগে তিনি দুটি জিনিস রেখে গেছেন-স্বাধীন দেশ ও মানচিত্র আর অন্যটি বাংলা রক গান।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।