নববর্ষ উদযাপন করতে গিয়ে ইরাকের মসুল নগরীর দজলা (টাইগ্রিস) নদীতে ফেরি ডুবে শতাধিক যাত্রী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৯ শিশু ও ৬১ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৫৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ওই ফেরিতে কমপক্ষে ২০০ যাত্রী ছিল। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
দুর্ঘটনার পরই অ্যাম্বুলেন্স ও হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ফেরির অধিকাংশ যাত্রীই সাঁতার জানতেন না বলে জানায় মসুলের সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি।
কুর্দিদের নতুন বছরের উদযাপন করতে যাত্রীরা ফেরিতে করে উম্ম-আল-রাবেইন নামে একটি পর্যটন দ্বীপে যাচ্ছিলেন।
ফেরিটিতে অত্যধিক যাত্রী থাকায় সেটি ভারী হয়ে পড়ে বলে জানান ওই ফেরি থেকে উদ্ধার হওয়া এক যাত্রী। তিনি আরো বলেন, ‘আমি শিশুদের লাশ নদীতে ভেসে থাকতে দেখেছি।’
এরই মধ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি এ দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা অনেক দুঃখের ও যন্ত্রণার।’
রাষ্ট্রীয় চেষ্টায় যাত্রীদের উদ্ধার ও আহতদের চিকিৎসা করারও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি।