কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁয় ভুয়া কাবিননামা তৈরী করে এক অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধার অবিবাহিত কন্যাকে স্ত্রী হিসেবে দাবী করে মাহমুদুননবী বেলাল নামে এক ব্যক্তি নিজ বাড়িতে উঠিয়ে নেয়ার জন্য নানা ভাবে হুমকী প্রদান করে আসছে। একাধিক বিয়ে করা মাহমুদুন নাবী বেলাল নামের ঐ ব্যক্তি নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ মহল্লার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাখখারুল ইসলামের আইন কলেজের ছাত্রী মোছাঃ দিপু বেগম নামের কিশোরীকে বিয়ে করেছে বলে দাবী করে।
ভুয়া বিয়ের শিকার উক্ত মোছাঃ দিপু বেগম নওগাঁ সদর থানায় উক্ত মাহমুদুন নবী বেলাল, বিয়ের কাবিন রেজিষ্ট্রি করা নওগাঁ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিয়ে পড়ানোর মৌলভী সদর থানার লখাইজানি গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র মোঃ লুৎফর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
নওগাঁ সদর থানা মামলা নম্বর ১৯ তারিখ ১৩-০৫-২০২২ এবং ধারা ৪০৬/৪২০/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/৩৪ মামলার বিবরনে জানা গেছে উক্ত মাহমুদুন নবী বেলাল পরিচয়ের সুত্র ধরে উক্ত অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা মোফাখখারুণ ইসলামের এক পুত্র চাকুরীর সুবাদে ঢাকায় এবং দুই কন্যা বিয়ে করে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করেন। অবিবাহিত মেয়ে মোছাঃ দিপু বেগম বাবার সাখে অবস্থান করেন এবং নওগাঁ আইন কলেজে পড়াশুনা করেন। পরিচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার নামে বিশ্বস্ততা গড়ে তোলে। সেই সুবাদে ঐ বাড়িতে অবাধ যাতায়াত শুরু করে উক্ত বেলাল। এরই এক পর্যায়ে সে গত ৫মে বেলা ১১টায় দিপু বেগমের বাড়িতে এসে একটি কাবিননামা এবং নোটারী পাবলিকের কাছে সম্পন্ন একটি এফিডেভিট দেখিয়ে বলে যে আমি দিপুকে বিয়ে করেছি দাবী করে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চায়। দিপু বেগম এই কাবিন নামা এবং এফিডেভিট সম্পুর্ন ভুয়া বলে দাবী করে। সে তার সাথে যেতে অস্বীকার করলে বেলাল তাকে নানাভাবে হুমকী প্রদান করতে থাকে। এ সময় বেলাল দাবীকৃত স্ত্রী দিপু বেগমের উদ্যেশ্যে বলতে থাকে শুধু নিকাহনামাই নয় আরও অনেক জাল ডকুমেন্ট তৈরী করেছি। সুতরাং তার কথা না মানলে দিপুকে এবং তাঁর পরিবারের সকলকে অনেক বড় বিপদে পড়তে হবে।
দীপু বেগম বলেছেন, পরবর্তীতে স্থানীয় এক কাউন্সিলরসহ অনেকেই বেলালের পক্ষ নিয়ে তাকে হুদকী প্রতদান অব্যাহত রেখেছে। অনেক মানুষ নিয়ে গিয়ে বাডি ঘেরাও করে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকী প্রদান করছে। যার ফলে উক্ত দিপু বেগম, বৃদ্ধ অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা পিতা এবং পরিবারের সকলে ভীতসন্ত্রস্থ দিনযাপন করছেন। বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন।
এদিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে নওগাঁ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাজী উক্ত রফিকুল ইসলাম অধিক টাকার বিনিময়ে বিয়ে রেজিষ্ট্রির নামে এ ধরনের অনেক অনৈতিক কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে। তার এসব অনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত রয়েছেন বলে জেলা রেজিষ্ট্রার স্বীকার করে বলেছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।