রাজনীতিতে যে দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা কম তারা দাবী করে বেশী। তারা জানে তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। সম্ভাব্য ক্ষমতার দল কথা বলে হিসাব করে। ক্ষমতায় গিয়ে দাবী পুরণ করতে না পারলে জবাব দিতে হয়। বি এন পি সহ অনেক দলের দাবী শুনেই তাদের গ্রহনযোগ্যতার প্রমান মিলে। বিগত ১৩ বছর ধরে সরকারের বিরুদ্ধে শুধু অভিযোগ করা ছাড়া বিরোধী দলের রাজনৈতিক কোন সাফল্যই নেই। দুর্নীতির অভিযোগ সব সরকারের আমলেই হয়েছে এবং হবে। কিন্তু বি এন পি সরকারের কোন দুর্নীতিবাজ নেতার বিচার হয়নি। বর্তমান সরকার দলের দুর্নীতিবাজ অনেকে নেতাকে জেলে দিয়েছে। বিরোধী দলের উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ সত্য হলে তা প্রকাশ করে না কেন? প্রমান না হলে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে! তবে এত দুর্নীতি হলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হল কিভাবে?
আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলে শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী হবেন সে কথা না ভেবেই বলা যায়। কিন্তু বি এন পি বিজয়ী হলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা জানার অধিকার সকলেরই আছে। বি এন পি সেই নামটি গোপন রাখছে কেন? শোনা যাচ্ছে দলে নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দল এখন তুঙ্গে। দলের অবস্থা জেনেই কি তাহলে বি এন পি নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছে? জামাত ইস্যু নিয়েও দলের মধ্যে বিভাজন রয়েছে। জামাতের বিষয়ে নেতাদের আপত্ত্বির পরেও সখ্যতার করনটি বি এন পি পরিষ্কার করতে পারছেনা। জামাত বি এন পি’কে চালায় নাকি বি এন পি’ জামাতকে এমন প্রশ্নও এখন রাজনৈতিক মহলে আলোচনা হচ্ছে। নেতারা নির্বাচনে যেতে চায় কিন্তু দল আগে থেকেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়ে রেখেছে। নির্বাচন বিষয়ে দ্বন্দ করে দলটি ভেঙ্গে গেলে দায়টি নেতৃত্বকেই নিতে হবে। কর্মীবাহিনীরা নিরাশ হয়ে অন্য দলে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে। কর্মীবাহিনীর হতাশার কারনে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাটি এখন পরিষ্কার। বহু ত্যগী নেতা বহিষ্কৃত হয়েছেন শুধু মাত্র তারেককে খুশী করতে না পেরে। তারেক খুশী হন টাকা পেলে। আর তাই বি এন পি রাজনীতিতে পিছিয়ে পরেছে। নির্বাচনে না গেলে অস্তিত্ব সঙ্কটেও পরবে অনুমান করছে বিশ্লেষকরা।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট ও আওয়ামীলীগ নেতা, টরন্টো, কানাডা।