নির্বাচনের খুব বেশী সময় বাকী নেই। সরকারের মেয়াদ পূর্ন হবে ২০২৩ সালের ডিসম্বরে। তার আগেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। নির্বাচনে যাবেনা বললেও শেষমেষ সব দলই নির্বাচন যাবে। বি এন পি’র অভ্যন্তরেও নির্বাচনে যাওয়ার তাগিদ রয়েছে। কারন এবার নির্বাচন বয়কোট করলে বি এন পি অস্থিত্ব সঙ্কটে পরবে। তারেক জিয়ার প্রতি দলের নেতারা সন্তুষ্ট নয়। তারেকের অসৌজন্য মুলক আচরনে অনেকে নেতাই নিষ্কৃয় হয়ে পরেছে। বি এন পি ভেঙ্গে একটি নতুন দল গঠনের কথাও শোনা যাচ্ছে। এমনটি হলে আগামী নির্বাচনে বি এন পি’র ভাগ্য অনিশ্চিত। জোটের নেতারাও অনেকে এখন আর বি এন পি’র সঙ্গে নেই জামাত ছাড়া। তৃতীয় ধারার রাজনীতি নিয়ে একটি নতুন দল গঠনের গুঞ্জন উঠেছে। সুশীল সমাজের কিছু ব্যক্তির নাম এসেছে এই দল গঠনে। এই দল গঠিত হলেও তাদের সাফল্য কেমন হবে বোধগম্য নয়।
বি এন পি ভেঙ্গে গেলে বৃহৎ দল হিসাবে জাতীয় পার্টিই অবশিষ্ঠ থাকে। কিন্তু জাতীয় পার্টি ১৪ দলের অংশ। জোট থেকে বেড়িয়ে জাতীয় পার্টি নির্বচন করলে কতটা সাফল্য পাবে বলা যাবেনা। বিভক্তি আছে এই দলেও। রওশান এরশাদ অসুস্থ এবং বিদিশা নতুন জাতীয় পার্টি গঠন করেছেন। কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্ধী হবে ভাবা যায়না। ডঃ কামাল হোসেনের গনফোরাম ভেঙ্গে গেছে। তিনি অবসরেরও ঘোষনা দিয়েছেন। বাসদ জাসদের নেতারা বিভক্ত। ডঃ রেজা কিবরিয়া এবং ভি পি নূরের গন অধিকার পরিষদ জোট ছাড়া নিষ্কৃয়। কমিউনিষ্ট পার্টিসহ বাম দলগুলি বরাবরের মতই সাংগঠনিক শক্তি নেই। এই সবদল মিলেও আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হতে পারবে মনে হয়না।
কিন্তু বিপদটি হবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলের অনেক নেতা এখন বিত্ত্বশালী। তারা এমপি হওয়ার নেশায় নিজ নিজ এলাকায় বাহিনী গঠন করেছে। মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবে এই নেতারা। এই সংখ্যাটি বড় হবে। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিরোধী দলের সমর্থন পেয়ে বিজয়ীও হবে। আগামী নির্বাচনে এরাই হবে আওয়ামী লীগের মূল প্রতিপক্ষ।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট ও আওয়ামীলীগ নেতা, টরন্টো, কানাডা।