বর্তমান সরকারের মেয়াদ আর মাত্র দেড় বছর বাকী রয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত হচ্ছে সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের। কিন্তু বি এন পি নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষনা দিয়ে রেখেছে আগে থেকেই। শুধু নির্বাচনে না যাওয়াই না নির্বাচন হতে দিবেনা বলেও হুশিয়ারী দিয়েছে। তাহলে কেমন হবে নির্বাচনের বছরটি! দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল জরুরী। এ কথা সরকার প্রধানও বলেছেন। কিন্তু বি এন পি কি সেই জায়গাটি পুরন করতে পারবে?
বি এন পি’র নেতারা যেভাবে মাঠে ময়দানে হুঙ্কার দিচ্ছে তাদের দল সেভাবে গোছানো নয়। নেতারা নানাভাবে বিভক্ত। বহুত্যগী নেতা দলের পদ হারিয়ে হতাশায় ভুগছে। লন্ডনের নির্দেশ ছাড়া কেন্দ্রিয় নেতারাও অচল। দলের অভ্যন্তরেই বিদ্রোহ চলছে। এমন দল নিয়ে বি এন পি নির্বাচন ঠেকাবে কিভাবে তা বোধগম্য নয়। নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত এখন দলের মধ্যেই বিরোধ সৃষ্টি করেছে। শেষ পর্যন্ত দলটি যদি তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনে যায় মাঠ কর্মীরা প্রস্তুত থাকবে কিনা! নির্বাচন কমিশন বলে দিয়েছে বি এন পি’কে তারা নির্বাচনের জন্য আমন্ত্রন জানাবে কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত বি এন পি’কেই নিতে হবে। বিগত নির্বাচনের পর থেকে দলটি সরকার বিরোধী প্রচারনা ছাড়া কোন রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে পারেনি- একটি সফল আন্দোলনও জমাতে পারেনি। বরং জোটের দলগুলি একে একে সরে পরেছে বি এন পি’র ভুল সিদ্ধান্তের কারনে। শুধু তত্বাবধায়ক সরকারে দাবী নিয়ে দলটি জনগনকে উদ্ভুদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনেও বি এন পি নেতারা ব্যর্থ হয়েছে। তারেক জিয়াকে অর্থলোভি বলছে দলের সিনিয়র নেতারাও। তাহলে নির্বাচনের পর দলটির ভবিষ্যত কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তিত এখন সিনিয়র নেতারাও।
অপরদিকে সরকারের সাফল্য আঁকাশচুম্বি। দুর্নীতিবাজ এম পি’দের বাদ দিয়ে ভাল প্রার্থী নির্বাচন করতে পারলে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় ঠেকানো প্রায় অসম্ভব। এমনটি হলে বি এন পি দল হিসাবে কোথায় দাঁড়াবে?
আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট ও আওয়ামীলীগ নেতা, টরন্টো, কানাডা।