মোঃ খোরশেদ আলম,কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর উপজেলার ১৪নং নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের গুনজর গ্রামের একমাত্র চলাচলের রাস্তার ভাঙ্গা সেতুর প্লেইটভারটি গতকাল রাত ১০টায় চুরি করে নিয়ে যায় ফলে ঐ এলাকার প্রায় বিশ হাজার লোকের চলাচলে ঝুঁকি হয়ে পড়ছে। এছাড়াও গত কয়েক দিন আগে ১৪নং নবীপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ মসজিদের অসুস্থ মুসুল্লিদের নামাজের চেয়ার, মসজিদের দুইটি সিলিং ফ্যান, দানবাক্সের টাকা, ইমামের মোবাইল ও টাকা চুরি হয়ে যায়। দিন দিন এই এলাকায় চোরের আনাগোনা বেড়েই চলছে।
এদিকে ভাঙ্গা সেতু নিয়ে চরম দুর্ভোগে এখন গুনজর গ্রামবাসী। এর আগেও এই সেতুর একটু সামনে আরেকটি সেতু ভেঙ্গে পড়েছিল। পরে এটিকে গুনজর গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক সাইফুল করিম ইমন খাঁন চলাচলের জন্য কোন রকম উপযোগী করে তোলেন। এই সেতু গুলো অত্যন্ত জনগুরত্বপূর্ণ। অথচ এগুলোর সংস্কার বা মেরামতের জন্য কারো মাথা ব্যথা নেই।
সরেজমিনে গিয়ে স্হানীয় গুনজর গ্রামের জিজিএস কমিটির মহাসচিব মোঃ জাকির হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, এই সেতুটি প্রায় চল্লিশ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল।কয়েক বছর আগে এই সেতুর মাঝ বরাবর তিনটি বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল।দীর্ঘদিন ভোগান্তির পর গুনজর গ্রামের একজন পুলিশ অফিসার এ কে মহিউদ্দিন (সেলিম) সেতুটির তিনটি জাহাজ কাটা প্লেইটভার দিয়ে চলাচলের জন্য উপযোগী করে তোলেন।কিন্তু গতকাল রাতে একটি প্লেইটভার চুরি করে নিয়ে যায়। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও ইট ও মাটির ট্রাক্টর, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। যানবাহন চলাচলের সময় যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে গিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও দুইপাশে দেওয়া হয়নি কোনো সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড।
গুনজর গ্রামবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেতু গুলোর মেরামতের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে। এছাড়া এলাকাবাসী আশা করছে পুরোনা সেতু গুলো ভেঙে নতুন সেতু করবে কর্তৃপক্ষ।