মোঃ খোরশেদ আলম, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ ১৫ মাসে ৩ হাজার বছরের কারাদণ্ড ও ৩৩ কোটি টাকার অর্থদণ্ড প্রাপ্ত ২১০৮ জন পলাতক আসামী গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।পুলিশের হিসেব অনুযায়ী ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত এই ১৫ মাসে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই ২১শ’ ৮ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। এর মধ্যে দু’জন মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামিও রয়েছে।
গেল দুদিন আগে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রহিমসহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ ও এম তানভীর আহমেদ বলেন, ২০২১ সালের শুরু থেকেই আমরা সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত মোট ২১০৮ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।
এদের মধ্যে দু’জন মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিও রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বেশির ভাগই মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ বলেন, আমাদের সুযোগ্য পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম বার এর দক্ষ নেতৃত্বে এই ১৫ মাসে গ্রেপ্তারকৃ আসামিদের মোট সাজার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩ হাজার বছর। এছাড়াও সাজার পাশাপাশি এসব আসামিকে আদালত যে অর্থদণ্ড করেছেন এর পরিমাণ দাাঁড়ায় ৩৩ কোটি টাকা। আদালতের দেয়া কারাদন্ড নিশ্চিতে এবং অর্থ আদায়ে এই ২১০৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লা জেলা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একজন সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামী দেশ ও সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ। সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা নিজেদের গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ কৌশল অবলম্বন করে। সুতরাং পুলিশের নিরলস প্রচেষ্টাায় বিভিন্ন কর্মকৌশল নির্ধারন করে এমন সাজাপ্রাপ্ত এসব পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তার করে। যার ফলে এসব আসামীকে দু হাজার ৭২৯ বছর ১০ মাস দন্ড নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় গেল ২০২১ সালে এক হাজার ৬শ’ ৭৭ জন সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামী এবং ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৪শ’ ৩১ জন সাজাপাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া দুটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের ঘটনায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে জেলা পুলিশ প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে।