করোনা পরিস্থিতি বিশ্বকে নড়বড়ে করে দিয়েছে। সব দেশেই অর্থনীতির উপর প্রভাব পরেছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি বেশামাল করেছে জনজীবন। শ্রীলঙ্কা অর্থাভাবে বিপর্যস্থ, পাকিস্তানে ইমরান সরকারের পতন এমনকি ইন্দোনেশিয়াতেও সরকারের টলমলে অবস্থা চলছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারনে। বাংলাদেশেও বি এন পি জামাত ইস্যুটিকে পুজি করে আন্দোলন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। নেতৃত্বের কারনে বি এন পি সুবিধা করতে না পারলেও প্রতিদিন বক্তব্য দিয়ে মাঠ গরম করে রাখছে। দ্রব্য মূল্যের বিষয়টি সর্বকালেই জনগন গ্রহন করেছে। সরকার সতর্ক থাকায় ইস্যুটি নিয়ে এখনো বৃহত্তর কর্মসূচী জমাতে পারেনি বিরোধী দল।
রমজান উপলক্ষ্যে বাজারের উর্ধগতি সব সরকারের আমলেই অভিন্ন। এবারই সরকারের উদ্যোগে অনেক দ্রব্যের মুল্য নিয়ন্ত্রন হয়েছে। কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ কেটে যায়নি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে লক্ষ্যে রেখে রাজনীতি জমে গেলে সরকার বিপদে পরতে পারে। নির্বাচন খুব বেশী দূরে নয়। প্রতিটি অনুষ্ঠানেই সরকারী দলের নেতারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। সম্ভব্য যাচাই বাছাইয়ের কথাও শোনা যাচ্ছে। কোন কোন এলাকায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। হাই কমান্ডের কাছেও এসব অভিযোগ পৌছেছে। আগামী নির্বাচনে এই সব অভিযোগ আমলে নেয়ার তাগিদ দিয়েছে মাঠ কর্মীরা। সরকারের অভুতপুর্ব সাফল্য রয়েছে কিন্তু নির্বাচনে এককভাবে তা বিবেচ্য হবে মনে হয়না। দলীয় কোন্দল এবং নমিনেশন নিয়ে দলে সঙ্কটে হতে পারে। তাই এখনই আমলনামা সংগ্রহ করে যোগ্য প্রার্থীর তালিকা করা প্রয়োজন। অর্থের কাছে যোগ্য প্রার্থী হেরে গেলে নির্বাচনের ফলাফল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। পাকিস্তানের সম্প্রতিক রাজনীতি স্বাধীনতা বিরোধীদেরকে যেন কোনভাবেই প্রভাবিত করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা জরুরী।
কিছু ব্যক্তি বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার অবস্থা বরন করার ভবিষ্যত বানী করলেও তা সত্য নয়। কারন বাংলাদেশ এখন খাদ্য উৎপাদনকারী দেশ। বিদেশী খাদ্য আমদানী ছাড়াই বাংলাদেশ খাদ্য সরবরাহে সক্ষম। তবে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিটি সংস্থাকে সজাগ থাকা জরুরী।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, বিশিষ্ট সমাজসেবক, কলামিস্ট, টরন্টো, কানাডা।