অর্থনীতিক ডেস্কঃ সুনামগঞ্জে হাওরের বাঁধ ভেঙে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আকস্মিক ঢলে হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে সরকার থাকবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জের হাওরের কৃষকদের জন্য প্রণোদনা কর্মসূচি নেয়া হবে। প্রণোদনা আছে এবং ইতোমধ্যে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে আউশে প্রণোদনা দেয়ার জন্য। ক্ষয়ক্ষতি মেটানোর জন্য সরকার চাষীদের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।
বোরোতে প্রতি বছর ২ কোটি টন ধান উৎপাদন হয়, এরমধ্যে ১২ লাখ টন হয় হাওরে, যেটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ১২ লাখ টনও বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। হাওরে আকস্মিক বন্যায় কী পরিমাণ ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষিমন্ত্রী হিসেবে সব সময়ই একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় তাকে। প্রকৃতির উপর তো কারো হাত নেই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, প্রস্তুতি রাখো যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য।
সার ডিলারদের অনিয়মের বিষয়টি তুললে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে সার নিয়ে তেমন সমস্যা নেই। তবে কোনো অনিয়ম হলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ সারের জন্য মানুষকে রক্ত দিতে হয়েছে, রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। কাজেই এখানে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, অতীতের যেকোনো রেকর্ডকে ব্রেক করে সর্বোচ্চ পরিমাণ ভর্তুকি বা প্রণোদনা বর্তমান সরকার দিচ্ছে। প্রতিবছর ৮ থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি থাকে বাজেটে। যে হারে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বাড়ছে তাতে জুন পর্যন্ত ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে দাম বাড়ছে ফলে ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।
ডিজিটাল বাংলা নিউজ/ ডিআর /এমওয়াই