জাতীয় ডেস্কঃ শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ২০০৪ সালে সই হওয়া বিনা শুল্কে বাণিজ্য চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য বিমসটেক ভুক্তদেশগুলোর নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (৩০ মার্চ) এ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে প্রথম বক্তা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ নিয়ে করণীয় ও যৌথ কৌশল নির্ধারণ, আঞ্চলিক সন্ত্রাস ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনসহ আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে বক্তব্য পেশ করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনার ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিশ্বকে নতুন সংকটে ফেলে গেছে। জ্বালানী তেল ও খাদ্য সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে খাদ্যপণ্যের মূল্য বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর মানুষদের এই সংকট সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বাণিজ্য নয়, বিদ্যুৎ আদান-প্রদানে ২০১৮ সালে যে চুক্তি হয়েছে সেটাও বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহযোগীতায় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে যে মাস্টারপ্লান হয়েছে সেটিও বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ করোনার মধ্যেও ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। সরকারের নানামুখী উদ্যগের কারণে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। তাই চরম ও অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
জঙ্গিবাদ ও সাধারণ অপরাধ দমনেও এক সাথে কাজ করার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। এশীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বাজায় রাখতে বিসমটেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফোরামের অধীনে তথ্য অদান-প্রদান করে যাওয়ারও তাগিদ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, আঞ্চলিক সংস্থা বিমসটেক -এর সাতটি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে পাঁচটি দক্ষিণ এশিয়ার। সেগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুটি দেশ হলো- মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড। ১৯৯৭ সালে ৬ জুন বাংলাদেশসহ চারটি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত হয় বিমসটেক। বর্তমানে সংস্থাটির বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংযোগ এবং শক্তি থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিস্তৃত ক্ষেত্র রয়েছে।