অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম শহরের পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন হরিজন পল্লীর এক বিয়ে বাড়িতে নাচা-নাচিকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে রাহুল বাসফোর (১৯) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক গাইবান্ধা শহরের কাচারীবাজার এলাকার প্রদীপ বাসফোরের ছেলে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও বাড়ি-ঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কুড়িগ্রাম সদর থানার পুলিশ সেখানে অবস্থান করে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম শহরের পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন হরিজন পল্লীর সুমন হরিজনের মেয়ে অন্তরা রানী বাসফোর (১৭) সঙ্গে গাইবান্ধা জেলা সদরের কাচারীপাড়া এলাকার স্বপন বাসফোরের ছেলে রনি বাসফোরের বিয়ের আয়োজন চলছিল। রনি পুলিশে চাকরিরত। কন্যা বিদায়ের সময় উভয়পক্ষের লোকজন আনন্দ-উৎসব করছিল। এসময় নাচানাচি নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে বরের বন্ধু রাহুল বাসফোর নামের ওই যুবককে ছুরিকাঘাত করা হলে ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। পরে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ৪/৫ জন আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাইবান্ধা হরিজন সম্প্রদায় কমিটির সভাপতি কীর্তন বাসফোর জানান, রাহুল বাসফোর নামে বরের এক বন্ধুর বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার জানান, গাইবান্ধা থেকে গত ৬ মার্চ ১০টি মাইক্রোবাসে ১৫০ জন বরযাত্রী আসে। সোমবার সকালে বিয়ে শেষে বিদায় অনুষ্ঠানে নাচ-গান করার সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন মারা যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে। এখানও মামলা হয়নি। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।