হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভুঞা বলেছেন, বর্তমানে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যে ইউনিক আইডি রয়েছে এক সময় এটিই তাদের এনআইডি নম্বর হবে। ঠাকুরগাঁও জেলার কোন স্কুলের একজন শিক্ষার্থী যদি চট্রগ্রাম গিয়ে ভর্তি হয়। এই নম্বরটি দিয়েই সেখানে তার পরিচিয় নিশ্চিত হবে। তাকে নতুন করে আর এনআইডি কার্ড করতে হবে না।
বুধবার ২ মার্চ বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভিটার দিবস উপদযাপন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, একজন শিক্ষার্থীর জন্য আজীবন এই নম্বরটি বহাল থাকবে। পর্যায়ক্রমে তার যাবতীয় কার্যক্ষেত্রে এই নাম্বার দিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত হবে। আপনারা জানেন এনআইডি কার্ড করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। সেনাবাহীনী, পুলিশ, সিভিল প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সবাইকে এই এনআইডি কার্ডটা করতে হয়। স্মার্টকার্ড পাঞ্চ করলে যে কারও নাম, পিতার নাম ঠিকানা সহজেই জানা যাচ্ছে, ফলে জালিয়াতির কোন সুযোগ নাই। নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ ভোটার তালিকা আমাদের সামনে উপহার দিয়েছে। তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। আজকের দিবসের যে প্রতিপাদ্য সেটা হলো যাতে করে সহজেই যে কেউ ভোটার হতে পারেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে আলোচনা সভায় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো: আবদুল ওয়াহাব ভুঞা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর, জেলা আ’লীগ সহ সভাপতি মাহাবুবর রহমান খোকন, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, প্রেসকাব সভাপতি মনসুর আলী, পৌর কাউন্সিলর দ্রৌপদী দেবী আগারওয়ালা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়াও প্রত্যেকটি উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। শেষে প্রধান অতিথি নতুন ভোটারদের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।