জাতিসংঘের মহাসচিব কঠিন ভাষায় হুশিয়ারী দিয়েছে রাশিয়াকে ইউক্রেন ছেড়ে যেতে। ফ্রান্সও এবার ক্ষিপ্ত হয়েছে। তুরস্কের জাহাজে বোমা হামলা হওয়ায় তুরস্ক মুখ খুলেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধ অমানবিক এবং আগ্রাসন বলেছে তুরস্ক। একদিকে ন্যটার অস্থিত্ব অন্যদিকে ইউরোপের সংহতি দুটোই এখন চ্যলেঞ্জের মুখে।
ইতিমধ্যে এশিয়ার রাজনীতিও জটিল হচ্ছে। পাক প্রধানমন্ত্রী মস্কো গেছে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করতে। ভারত চাইছে ইউ এস রাশিয়া দুই দেশকে হাতে রেখে চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে। কিন্তু আমেরিকাকে খুশি করে রাশিয়ার সমর্থন হারালে সামরিক শক্তি ব্যহত হবে। আমেরিকা যদি ভারতের বন্ধু হয় শত্রুর অভাব হবেনা ভারতের। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই কূটনীতিতে। চীনের সাথে সম্পর্ক ছেদ হলে উন্নয়ন থেমে যাবে বাংলাদেশে। ইউরোপের রপ্তানি বাজারে ধস নামবে যুদ্ধের কারনে। গার্মেন্টস রপ্তানীর মূল লক্ষ্য হল ইউরোপ। এই যুদ্ধ ইউরোপিয়ান বাজারের কি হবে এখনো বলা যাচ্ছে না।
রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেও তাদের লক্ষ্য হক ন্যাটো কে হুশিয়ার করে দেওয়া। ইউরোপে এবং পৃথিবীতে ন্যাটোর আধিপত্য রাশিয়া ভাল ভাবে নেয়নি। যুদ্ধ করে রাশিয়া প্রমান দিল ন্যাটো অগ্রসর হলে রাশিয়া ছাড় দিবেনা। আমেরিকা এখন মূলত সঙ্গহীন হয়ে পরেছে। ন্যাটোর দেশগুলি মুখে বললেও প্রকৃত সাহায্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক’টি দেশে এগিয়ে আসবে নিশ্চিত নয়। কারন রাশিয়া হুমকি দিয়েছে কেউই আগ্রসর হলে তাদের বিদ্যুৎ এবং গ্যস সরবরাহ বন্ধ করে দিবে। ফ্রান্স জার্মানীও এই তালিকায় রয়েছে। জি- ৭ দেশের নেতারাও নিরব। এমতাবস্থায় ন্যাটো মনোবল ধরে রাখতে পারবে কিনা নিশ্চিত নয়।
রাশিয়াকে দেখে চীনও তাইওয়ান দখলের পায়তারা করছে। যদি চীন তাইওয়ান আক্রমন করে রাশিয়া চীনকে সমর্থন দিবে। বিশ্ব রাজনীতিতে কর্তৃত্ব হারাবে আমেরিকা। রাশিয়া কারও কথা শুনছে না। ন্যাটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে গেলেই এটোমিক যুদ্ধ হবে নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে পৃথিবী আর পৃথিবী থাকবে না। কোন দেশ যুদ্ধে জড়ালে রাশিয়া কিংবা আমেরিকা মোড়লের ভূমিকা পালন করে। এখন এই মোড়লদেরকে কে ঠেকাবে?
আজিজুর রহমান প্রিন্স, বিশিষ্ট সমাজসেবক, কলামিস্ট, টরন্টো, কানাডা।