অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলীকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ এবং আহত চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে স্থানীয় জনতা ।
আটক যুবকের নাম তারা মিয়া (৩৪)। তিনি উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কোমরভাঙ্গী নয়াপাড়া গ্রামের মৃত কদম আলীর ছেলে। রবিবার সকাল ৮টার দিকে চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বাড়িতে থাকা অবস্থায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রৌমারী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পুর্ব পরিকল্পনামতো তারা মিয়া চেয়ারম্যান সরবেশ আলীকে ধারালো চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। এতে সরবেশ আলী মারাত্বক জখম হন। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে এবং তারা মিয়াকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ধারালো চাইনিজ কুড়াল ও একটি ছুরিসহ তারা মিয়াকে থানায় নিয়ে যায় ।
ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, ওই যুবক চাইনিজ কুড়াল নিয়ে আমার বাড়িতে এসে আমার ওপর আকস্মিকভাবে হামলা চালায়। কুড়ালের কোপে আমার বাম হাতের তালু কেটে যায়। পরে আমার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযুক্ত যুবক তারা মিয়া জানান,চেয়ারম্যান আমার আপন চাচাতো ভাই। তার কাছে আমাদের শরিকানার জমি রয়েছে। সেই জমি বের করে দেওয়ার কথা বলে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আমাদের ঘুরাচ্ছেন। সকালে আমি তাকে মারতে যাইনি। শুধু ভয় দেখাতে গিয়েছিলাম। এ সময় তার লোকজন আমাকে ধরে বেদম মারপিট করে।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মুক্তারুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানের বাম হাতে চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে সৃষ্ট জখমে সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তারা মিয়া নামের এক যুবককে আটক করেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো চাইনিজ কুড়াল ও একটি ছুরি জব্দ করা হয়েছে। আটক যুবককে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।