তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার গোগালী ছড়া খালের ৩ স্থানের ভাঙন মেরামত কাজের গড়িমসিতে এলাকাবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার ৭ মাস অতিবাহিত হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু না করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, কুলাউড়া পৌরসভার পূর্বপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি গোগালীছড়া খালটি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড হয়ে হাকালুকি হাওরে মিলিত হয়েছে। পাহাড় থেকে ছড়ার উৎপত্তি হওয়ায় গত বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে ছড়ার দু’কুল উপচে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। গত বছর ২০২১ সালে নদীর দু’কুলের ৩টি স্থানে ভাঙন দেয়ায় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের দুই তৃতীয়াংশ গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি, স্কুল, মাদরাসা, গবাদি পশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
গত বছরের ২৬ জুলাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরেজমিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দুর্যোগ বিবেচনায় জরুরি মেরামতের নির্দেশ দেন। অবশেষে কাজটি সম্পন্নের জন্য গত ২৯ জুলাই পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢাকার রাহাদ কন্সট্রাকশনকে ৬ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার কার্যাদেশ প্রদান করে। কিন্ত কার্যাদেশ প্রদানের ৭ মাস অতিবাহিত হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অদ্যাবধি কাজ শুরু করেনি।
কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ কাজ শুরু না হওয়ায় ঠিকাদারের খামখেয়ালিপনা ও উদাসীনতাকে দায়ী করেন।
তিনি জানান, আর এক মাস পর আবার বৃষ্টি বাদল শুরু হলে কাজ শেষ করা কঠিন হবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আক্তারুজ্জামান জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বার বার তাগদা দেয়া সত্ত্বেও কাজ সম্পন্ন করেনি বা উক্ত প্রতিষ্ঠানকে কোনো টাকা-পয়সা দেয়া হয়নি।
তবে উক্ত ঠিকাদার কাজ শুরু না করলে ১ মাসের মধ্যে অপর কোন ঠিকাদার দিয়ে ভাঙন মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি জানান।