মো. নাছির উদ্দিন,বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর সদরের চরের কান্দার হাটির বাকপ্রতিবন্ধী আব্দুর রহমান একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় হাসানের বাবা-মা। নিহত হাসানের মা ছেলের শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। যখই জ্ঞান ফিরছে তখনই ‘আমারে কে মা ডাকবে বলে চিৎকার দিয়ে আবার জ্ঞান হারাচ্ছেন।
হাসানের বাবা আব্দুর রহমান বাকপ্রতিবন্ধী নির্বাক, পুত্র শোকে একটানা তার চোখ দিয়ে পানি ঝড়ছে। প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না। এদিকে হাসানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত হাসানের মা জানান আমার ছেলে বাঞ্ছারামপুর প্রতাবগঞ্জ বাজারে হোসেন মিয়ার খাবার হোটেলে ৮ মাস যাবৎ কাজ করে গতকাল ছেলে কাজে যাইতে রাজি ছিলোনা,বুজাইয়া, নিচ্ছা ফুইচ্ছা, ছেলেরে দোকানে কাজে পাঠাইয়াছি। আমার এই একটাই ছেলে ছিলো আর দুইটা মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী আমি এখন কি করবো।
গত বৃহস্পতিবার ১টা ৩৫ মিনিটে বাঞ্ছারামপুর বাজারে হোসেন মিয়ার খাবার হোটেলে এর সামনে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে, তখন হোটেলের পিছনে ভিতরে হাসান ও জাহিদুল নামে ২টি শ্রমিক আটকা পড়ে যায় খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর হোমনার ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্হলে এসে ২ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ততক্ষণে ৮ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বাঞ্ছারামপুর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার অঞ্জন চৌধুরী মজুমদার স্হানীয় লোকের সহযোগিতায় আগুনে দগ্ধ অবস্হায় জাহিদুল ও হাসানকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়,তাদের দুইজনের অবস্হা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট রেফার করা হয় কিন্তু ঢাকা নেয়ার পথে হাসান (১৪ ) গাড়ীতেই মারা যায়।
দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা ও ত্রাণমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম এমপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সমশাদ বেগম, পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল-রহমান জনি, পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আর্থিক সহযোগিতা করেন এবং তাদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুরুন করার আশ্বাস দিয়েছেন মাটি ও মানুষের নেতা ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম এমপি।