আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ চলমান মহামারি করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে কানাডায় চলা আন্দোলন দমনে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গত ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথম জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক ভাষণে ট্রুডো এ জরুরি অবস্থা জারি করেন। খবর- নিউ ইয়র্ক টাইমস।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ ঘটনাকে বিপজ্জনক উল্লেখ করে বলেন, এ কার্যক্রম আর চলতে দিতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে, শেষ পদক্ষেপ হিসেবে কঠোর আইন (জরুরি অবস্থা) জারি করতে হলো।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ বিক্ষোভের কারণে রাজধানীসহ আশপাশের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে বিক্ষোভের ফলে আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ছে। আমরা এই বিপজ্জনক কার্যক্রম আর চলতে দিতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে শেষ পদক্ষেপ হিসেবে কঠোর আইন (জরুরি অবস্থা) জারি করতে হলো।
এর মাধ্যমে সরকার নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণ, জনশৃঙ্খলা পুনর্বহাল, জনসমাবেশ নিষিদ্ধ বা কোনো এলাকায় ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করতে পারবে। তবে ট্রুডো বারবার বলেছেন এ আইনটি মানুষের মৌলিক অধিকার হস্তক্ষেপের কারণে ব্যবহার করা হবে না।
ট্রুডো আরও বলেন, ‘আমরা মানুষের বাক স্বাধীনতা বা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সীমিত করছি না। আমরা জনগণকে আইনগতভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দিচ্ছি না।’
উল্লেখ্য, জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের জারি করা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি নিষেধের বিরুদ্ধে কানাডার রাজধানী অটোয়াতে জড়ো হয়ে গত ২৮ জানুয়ারী থেকে আন্দোলন গড়ে তোলে ট্রাক চালকরা। পার্লামেন্টের সামনে তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে তারা। আর এই পরিস্থিতিতেই জারি হল জরুরি অবস্থা।